• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

দিনের বেলায় ঘুম স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না খারাপ?

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

এমন অনেক মানুষ আছে যারা বিকেল বেলায় ঘুমানো ছাড়া থাকতেই পারেন না। এভাবে একটা সময় দিনের বেলায় ঘুম একটি অভ্যাস হয়ে ওঠে। কিন্তু আপনি কী কখনো ভেবেছেন যে কেন আপনার প্রতিদিন বিকেল বেলায় ঘুম পায়?

এমন অনেক মানুষ আছে যারা বিকেল বেলায় ঘুমানো ছাড়া থাকতেই পারেন না। অনেকের ধারণা, দিনে ঘুমালে ওজন বাড়ে, রাতের ঘুম আসেনা, স্বাস্থ্যের জন্যও এটা খারাপ। আসলেই কী দিনে ঘুমানো খারাপ বা ক্ষতিকর? 

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের জন্য উৎকৃষ্ট সময় হলো রাত। রাতে ঘুমিয়ে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা ভালো। ভোরে ঘুম থেকে উঠলে সারা দিন নানা কাজের ব্যস্ততায় একসময় ক্লান্তি আসে। 

ক্লান্ত শরীর কর্মোদ্যম হারায়। মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়লে স্বাভাবিক মনঃসংযোগও ব্যাহত হয়। কাজের গতি কমে যায়। এমন সমস্যা মোকাবিলায় দুপুরের পর স্বল্পমেয়াদি হালকা ঘুম হতে পারে উপকারী। সুযোগ থাকলে দুপুরে কিংবা বিকেলে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের একটা ছোট ঘুম দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এই ঘুমটা হতে হবে রোজ একটি নির্দিষ্ট সময়ে, এলোমেলো রুটিনে নয়।

গবেষণায় দেখা গেছে , ক্লান্তি দূর করতে চা বা কফির চেয়েও এই ছোট ঘুম বেশি কার্যকর। এই ঘুমে মানসিক চাপ কমে, ভালো হয় মন। কমে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা। হালকা ঘুমের পর চোখও আর ক্লান্তিতে জড়িয়ে আসে না, অবসন্ন লাগে না। কাজে ফিরে আসে উদ্যম। ঘুম না এলেও মিনিট দশেক কিংবা ঘণ্টাখানেকের বিশ্রাম আপনাকে সতেজ করে তুলবে।

তবে দিনের বেলা আধা ঘণ্টার বেশি ঘুমালে ফল হতে পারে উল্টো। আবার কাজ শুরু করতে জড়তা বোধ করতে পারেন। ঘুমের ব্যাপ্তি দীর্ঘ হলে নষ্ট হতে পারে রাতের ঘুম।

অনিদ্রায় ভুগলে
কিছু মানুষ অনিদ্রায় ভোগেন। আর এই দিনের ঘুম রাতের অনিদ্রার কারণ হতে পারে। তাই রাতে যাদের ঘুম আসে না, তারা দিনে না ঘুমানোই ভালো। ঘুমের চক্রটাকে অবশ্যই রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর। প্রতিদিন রাতে নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যাওয়া, ভোরে নির্দিষ্ট সময়ে জেগে ওঠার অভ্যাস করা প্রয়োজন। মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তাও অনিদ্রার বড় কারণ। তাছাড়া সকালে দেরি করে ওঠার অভ্যাসও ভালো নয়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here