• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

দৈনন্দিন জীবনের কিছু টিপস

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

১. রক্ত শূন্যতা প্রতিরোধের জন্য কাঁচা হলুদ খুবই উপকারি। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রস বের করে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে রক্ত শূন্যতা দূর হবে। কারণ কাঁচা হলুদ শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এটি রক্ত তৈরি করতেও সাহায্য করে। যার ফলে অ্যানিমিয়া রোগ দূর হয়। এছাড়াও কাঁচা হলুদ বেটে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। যা রক্ত স্বল্পতার হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পারবে।

২. দুধকে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। কারণ দুধে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেলস ও পুষ্টি উপাদান থাকে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। দুধে কোলেস্ট্ররেল থাকে না বললেই চলে। ফলে রক্তে কোলেস্ট্ররেলের পরিমাণ কমে রক্ত পরিষ্কার হয় ও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তাই শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ পান করা খুবই জরুরি।

৩. মধু শরীরের জন্য খুবই উপকারি। প্রতিদিন এক চা চামচ মধু খেলে গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, মাইগ্রেনের সমস্যা, রক্ত স্বল্পতা ও অসারতা দূর হয়ে যাবে। এমনকি অস্ট্রিওথ্রেসিসের মতো রোগও শরীর থেকে দূরে চলে যাবে। কিন্তু ডায়বেটিস থাকলে বা মধুতে কোনো রকম সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

৪. চুলের খুশকি খুবই বড় একটি সমস্যা। খুশকি দূর করার সব থেকে বড় সমাধান হলো শ্যাম্পু করার আগে এক মগ পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে চুল ভিজিয়ে নিতে হবে। তবে অনেক উপকার পাবেন। এছাড়াও একটা পেঁয়াজ বেটে এর রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করবেন। মাথা থেকে খুশকি একেবারে দূর হয়ে যাবে।

প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে দাঁত ঝকঝকে হয়ে যাবে। আপেল খাওয়ার সময় সামনের দাঁত দিয়ে কামরে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে দাঁতের ময়লাও পরিষ্কার হয়ে যাবে আর দাঁতও ঝকঝকে হয়ে যাবে।

৫. গাজরের ক্যারোটিনয়েডগুলো হার্টের যেকোনো সমস্যার জন্য খুবই ভালো। এছাড়াও গাজর আমাদের দাঁত পরিষ্কার রাখে। কারণ গাজরে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস রয়েছে। যা দাঁতের জন্য খুবই উপকারি।

৬. শিশু যদি খুব সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়ে তবে টাটকা ফল, লেবুর রস ও ডাবের পানি খাওয়াতে হবে। তাহলে শিশুর শরীরে থেকে পানির ঘাটতি দূর হয়ে যাবে। কারণ শরীর পানির অভাবে খুব সহজে ক্লান্ত হয়ে পরে।

৭. সুন্দর ত্বক সকলেরই কাম্য। এ জন্য চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে অল্প দুধ মিশিয়ে মুখের ত্বকে কিছু সময় ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুঁয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করলে ত্বক অনেক উজ্জ্বল ও সুন্দর হবে। তবে মুখে লাগানোর আগে হাতে বা পায়ে লাগিয়ে দেখবেন কোনো সমস্যা হয় কি না।

৮. শীত আসলে সর্দি কাশি লেগেই থাকে। এ জন্য তুলসি পাতা নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে রস খেতে হবে। তাহলে এ সর্দি কাশির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

৯. বদ হজমের সমস্যা সকলেরই রয়েছে। এ ধরণের সমস্যা থাকলে ভারী কিছু খাওয়ার পর মুখে একটি করে লবঙ্গ দিবেন। এ লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুবুতে থাকবেন। যখন লবঙ্গর স্বাদ বা গন্ধ একেবারেই থাকবে না তখন ফেলে দিবেন। এভাবে লবঙ্গর রস খেতে পারলে বদ হজমের সমস্যা আর থাকবে না। তাই খাওয়ার পর লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here