• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু: শাকিব খান

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

বর্তমানে শাকিব খানের কাঁধে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে ঢালিউড। অনেকদিন ধরেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী, ময়দানে যার রথের গতি ক্রমশ  বেড়েই চলছে। ইন্ডাস্ট্রি ডুবতে বসলেও তার ক্যারিয়ারে বইছে সত্যিকারের ফাগুন হাওয়া। ঢাকার বাইরে কলকাতাতেও সমান জনপ্রিয় তিনি। 
বর্তমানে শাকিব খান ব্যস্ত রয়েছেন তার নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় ছবি ‘বীর’র কাজ নিয়ে। ছবিটি বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এসব বিষয় ছাড়াও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে  মুখোমুখি হয়েছিলেন শাকিব খান।

নতুন সিনেমা বীর’র জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?
‘বীর’ আমার কাছে নানা কারণে স্পেশাল। বীর আমার প্রযোজিত তৃতীয় ছবি। আমার প্রযোজিত এসকে ফিল্মস থেকে আগে ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’ এবং পাসওয়ার্ড দুই ছবি সুপারহিট হয়েছে। এটিও যেন সবদিক থেকে সাফল্য পায় সেদিক মাথায় নিয়ে কাজ করছি। বীরে আমাকে দুইভাবে দেখা যাবে। সেজন্য প্রায় দেড় মাস ধরে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। ওজন কমিয়েছি, চুল, দাড়ি বড় করেছি। গল্প নিয়ে কাজ করেছি। বীরের গল্পটাই আমাকে প্রস্তুত হতে বাধ্য করেছে। 
ছবিটি কবে মুক্তি পাবে আর হঠাৎ কেন এই ছবিটি বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করলেন?
খুব যত্নশীল হয়ে ‘বীর’ এর কাজ করছি। মৌলিক গল্পের সিনেমা এটি। একইসঙ্গে গল্প নির্ভর সিনেমা। এরইমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে। টানা শুটিং করছি। ‘বীর’ ঈদের সিনেমা না। তাই ঈদের আগেই মুক্তি পাবে এটা কনফার্ম। আগামী বছর শুরুর দিকে ‘বীর’ আসবে। ‘বীর’ দেশাত্মবোধক সিনেমা। এটা দেশ, মানুষ ও রাজনীতির কথা বলবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও সবসময় মানুষের কথা বলতেন। বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। তিনি সবকিছুর উর্দ্ধে। এদেশের একজন সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতার প্রকাশ করতে চাই কাজ দিয়ে। তাই তাকে ‘বীর’ ছবিটি উৎসর্গ করতে চাই।

একটার পর একটা সিনেমা করছেন, ক্লান্তি আসে না?
যখন নিজের মধ্যে ক্লান্তি কাজ করে তখনই কোনো না কোনো অর্জন হাতে আসে। ওই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুনভাবে আবার কাজে মনোযোগ দেই। ক্লান্তির চেয়ে প্রেসার অনুভব করি। যখন ভালো কাজ করতে যাই কোনো না কোনো বাঁধা আমাকে আটকাতে চায়। কিন্তু যারা আটকায় তারা বোঝে না আমি যা করি সবই ইন্ডাস্ট্রির জন্যে। 

বাংলাদেশের বাইরে কলকাতায় আপনি অনেক জনপ্রিয়, বিষয়টি কিভাবে দেখেন?
মাত্র চারটি সিনেমা করে সেখানে আমি সাফল্য পেয়েছি। সেখানে কয়েকটা স্টেজ শো করেছি। তখন বুঝেছি সেখানকার মানুষও আমাকে কতটা ভালোবাসে। একটা বছর গ্যাপ গেছে। এই সময়ে আমি দেশের সিনেমায় মনোযোগ দিয়েছি। আমার উপর অনেকেই নির্ভরশীল। আমি কোনভাবেই তাদের হতাশ করতে পারি না। 
আপনার কাছে চলচ্চিত্রের বর্তমান সমস্যা কোনটা মনে হয়?
অনেক জেলায় সিনেমা হল নেই। ভালো ছবি বানিয়েও প্রদর্শনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। সরকার প্রতি জেলার মাল্টি থিয়েটার নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। এটা যত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে ততই মঙ্গল। সিনেমা মুক্তির সময় ডিস্ট্রিবিউশনের কিছু তৃতীয়পক্ষ লাভের টাকা নিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সুদৃষ্টি ছাড়া এই তৃতীয় পক্ষ দূর করা সম্ভব নয়। বিএফডিসির মানুষদের কাজ কমে গেছে। তারা সমিতি নিয়ে তৎপর। সমিতি সমিতি খেলা বন্ধ করে সিনেমার কাজে মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের নির্মাতাদের বিশ্বমানের ছবি নির্মাণ করতে হবে। প্রযুক্তির দিক দিয়ে আমরা পিছিয়ে। এ বিষয়েও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here