• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

Find us in facebook
সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

যে চমক দেখিয়ে বিশ্বসেরা স্বীকৃতি অর্জন করলো আফগানিস্তান

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আফগান জাফরান নবমবারের মতো বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের জাফরান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বেলজিয়ামভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল টেস্ট ইনস্টিটিউট এই স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাফরান উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান চলতি বছরে প্রায় ৫০ টন জাফরান সংগ্রহ করবে বলে আশা করছে।

এবারই প্রথম নয়, এ নিয়ে টানা ৯ বার বিশ্বের সবচেয়ে ভালো মানের জাফরান উৎপাদন করল দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ আয়তনের দেশটি।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আবারো বিশ্বকে চমক দেখাল আফগানিস্তান। নবমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে ভালো জাফরান উৎপাদকের স্বীকৃতি পেয়েছে দেশটি।  বেলজিয়ামভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল টেস্ট ইনস্টিটিউট এই স্বীকৃতি দিয়েছে। 

আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান মসলা হলো জাফরান। যার এক কেজির মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ লাখ টাকারও বেশি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাফরান উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান চলতি বছরে প্রায় ৫০ টন জাফরান সংগ্রহ করবে বলে আশা করছে। 

গত বছর ভারত, সৌদি আরব এবং অন্যান্য কয়েকটি দেশে পঁয়ত্রিশ মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রায় ৩০ টন জাফরান রফতানি করেছে আফগানিস্তান। বর্তমানে দেশীয় বাজারে প্রতি কেজি জাফরানের দাম ১ লাখ ২০ হাজার আফগানি।

আফগানিস্তানের কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আজম ওসমানী বলেন, বিশ্বে আফগান পণ্যের নিজস্ব একটি মান রয়েছে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নবমবারের মতো প্রথম স্থান অর্জন করেছে আমাদের জাফরান।

দেশের ২৬টি প্রদেশে জাফরান চাষ করা হয়, তবে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ জাফরান চাষ হয় হেরাত প্রদেশে। হেরাতভিত্তিক একটি রফতানি সংস্থা এই প্রতিযোগিতায় আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব থাকে। ওই সংস্থার প্রধান নির্বাহী নজিবুল্লাহ রহমতি বলেন, আমরা কৃষক ও প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। কীভাবে এটি সঠিকভাবে শুকানো যায়, প্রক্রিয়াজাত করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছি এবং এখন আমরা এর ফল দেখতে পাচ্ছি।

আফগান জাফরান অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান মোহাম্মদ ইব্রাহিম আদেল বলেছেন, গত আট মাসে ভারত, স্পেন এবং সৌদি আরবের মতো দেশে প্রায় ৩০ হাজার কিলো জাফরান রফতানি করা হয়েছে।

আফগানিস্তানের কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুনভাবে দেশের কৃষিখাত ঢেলে সাজাচ্ছে তারা। প্রথমেই আফিম চাষ বন্ধ করা হয়েছে। এখন জাফরানের মতো মহাউপকারী মসলা চাষে কৃষকদের উৎসাহী করা হচ্ছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here