• মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৬ ১৪৩১

  • || ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

জ্বরের সঙ্গে বা জ্বর ছেড়ে গেলে কখনো কখনো ঠোঁটের কোণে যন্ত্রণাদায়ক ফুসকুড়ি দেখা দেয়, যাকে আমরা বলি জ্বরঠোসা বা জ্বর ঠুঁটো। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে বলা হয় কোল্ড সোর বা ফিভার ব্লিস্টার।

প্রতি বছর সারাবিশ্বে যত মানুষ অন্ধ হয়ে যান, তার একটা বড় অংশ ঘটে জ্বর ঠোসার ভাইরাস এর কারণে। এ ছাড়াও জ্বর ঠোসা থেকে যৌনাঙ্গের হার্পিস হতে পারে, যা একবার হলে পুরোপুরি নির্মূল করার উপায় এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। নবজাতকের মাঝে ভাইরাসটি ছড়ালে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই জ্বর ঠোসা হলে হেলাফেলা না করে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।


কীভাবে বুঝবেন জ্বর ঠোসা হয়েছে কি না?
১. মুখের যে কোন স্থানে জ্বর ঠোসা উঠতে পারে। যেখানে জ্বর ঠোসা উঠবে, সেখানে সাধারণত জ্বর ঠোসা হওয়ার আগেই জ্বালাপোড়া, ঝিম ঝিম করা অথবা চুলকানি শুরু হয়। 

২. ছোটো ছোটো ফোসকা বা ঠোসা ওঠে। এগুলোর ভেতরে পানির মতো তরল থাকে।

৩. ফোসকাগুলো ফেটে গিয়ে সেগুলোর ওপরে আস্তে আস্তে চলটা পড়ে

৪.যদি জ্বর ঠোসা হয় তাহলে আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে সেরে উঠতে শুরু করে। সেরে ওঠার আগ পর্যন্ত এটি ছোঁয়াচে থাকে। এই সময়ে ব্যথা অথবা জ্বালাপোড়া হতে পারে।

৫. কখনো কখনো বমি ভাব কিংবা বমি হওয়া; সঙ্গে থাকতে পারে মাথাব্যথা।

জ্বর ঠোসা ওঠার কারণ
জ্বর ঠোসা একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি ‘হার্পিস সিমপ্লেক্স’ নামের একটি ভাইরাসের কারণে হয়। এই ভাইরাস শরীরে বিভিন্নভাবে প্রবেশ করতে পারে। ভাইরাস জেগে ওঠার অন্যতম কারণ হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়া। যেমন: ঠান্ডা লাগা অথবা জ্বর আসা। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়া ছাড়াও আরও কিছু কারণে ভাইরাস জেগে উঠে জ্বর ঠোসা তৈরি হতে পারে। যেমন: কোনো কারণে অসুস্থ হলে, খুব ক্লান্ত থাকলে, মানসিক চাপে থাকলে, রোদে গেলে ও মেয়েদের মাসিকের সময়ে।

জ্বর ঠোসার ঘরোয়া চিকিৎসা 
১. আক্রান্ত স্থানে ফোলা ভাব কমাতে বরফ লাগানো যেতে পারে। 

২. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আক্রান্ত স্থানে অ্যান্টিভাইরাস ক্রিম লাগানো যেতে পারে।

৩. আক্রান্ত স্থান লবণ ও কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে প্রদাহ কমে যায়। ঘায়ের চারপাশ পরিষ্কার করতেও এটা সাহায্য করে।

৪. মুখের ঘাগুলোতে বেকিং সোডা ও পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

৫. নারকেল তেল অথবা সরিষার তেল আক্রান্ত স্থানে লাগালে ব্যথা কমে।

৬. কিছু গবেষণায় জ্বর ঠোসা সারাতে অ্যান্টিভাইরাল ক্রিমের পরিবর্তে মেডিকেল গ্রেড কানুকা মধু ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে যে, মধু অ্যান্টিভাইরাল ক্রিমের মতোই কার্যকর। ভালো মানের কানুকা অথবা অন্য কোনো বিশুদ্ধ মধু ব্যবহার করে দেখতে পারেন আপনার জন্য কাজ করে কি না। জ্বর ঠোসা হবে বুঝতে পারার সাথে সাথেই সেখানে মধু লাগাবেন। দিনে পাঁচ বার করে জ্বর ঠোসা পুরোপুরি সেরে ওঠা পর্যন্ত এভাবে ব্যবহার করবেন।

৭. জ্বরঠোসার ওপর ও আশপাশের ত্বকে পেট্রোলিয়ম জেলি ব্যবহার করতে হবে। তাহলে ত্বক শুকিয়ে আর ফাটবে না।

৮. রোদে বের হলে সানস্ক্রিন, বিশেষ করে ঠোঁটে সানব্লক লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে।


প্রতিরোধ করতে-
১. ব্যবহৃত পানির গ্লাস, চামচ, লিপস্টিকসহ অন্যান্য কসমেটিক্স কারও শেয়ার না করা। 
২. ছোটদের চুমু না দেয়া।
৩. ব্লিস্টার স্পর্শ করলে ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলা।
৪. মানসিক চাপ মুক্ত থাকা।
৫. সানস্ক্রিন ক্রিম, লিপ-বাম ব্যবহার করা।
৬. পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ।


তথ্যসূত্র-সহায় হেলথ

Place your advertisement here
Place your advertisement here