• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

Find us in facebook
সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

কোকাকোলার মতো কোমলপানীয়ের প্রতিটি চুমুকই ক্ষতিকর

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

কোল্ড ড্রিংক পান করতে পছন্দ করেন অনেকেই। চিনিই হলো এর মূল উপাদান। তাই কোল্ড ড্রিংকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে। বাইকার্বোনেটেড হিসেবে পরিচিত এই তরল কখনই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। বিশেষ করে যারা প্রতিনিয়ত পান করেন, তাদের ক্ষেত্রে।

বাসা, পার্টি, পিকনিক—সব জায়গায়ই দেদারসে পান করা হচ্ছে কোমলপানীয়। বিশেষ করে কোকাকোলা। কয়েকমাস আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কোকাকোলা পণ্যের বয়কটের ডাক চলছে। তবে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে বয়কট ছাড়াও আপনি আপনার শরীরকে ভালো রাখার জন্য ‘বয়কট’ করতে পারে এই পানীয়।

কোল্ড ড্রিঙ্কসের পুষ্টি মূল্য প্রায় কিছুই নেই। না আছে কোনো খনিজ, না আছে ভিটামিন, না আছে কোনো ফাইবার! কোল্ড ড্রিংকস বা নরম পানীয়গুলো কতটা ক্ষতিকর এই সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই সম্পূর্ণভাবে জানেন না। আপনি কম পরিমাণে কোল্ড ড্রিংকস পান করুন বা বেশি পরিমাণে, প্রতিটি চুমুকই ক্ষতিকর।

অতিরিক্ত কোল্ড ড্রিংক খেলে ওজন বেড়ে যাওয়া বা রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ, এতে প্রচুর সুগার ও ক্যালরি রয়েছে। এ ছাড়া বেশি খেলে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ঘুম কমে যাওয়া, এমনকি ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া খাওয়ায় অরুচি বা মাইগ্রেনের কারণ হিসেবেও একে দায়ী করা হয়।

কোমলপানীয়ের ইতিহাস অর্ধশতকালের। পানি, চিনি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, লেবুর জুস দিয়ে প্রথম তৈরি করা হয় এনার্জি ড্রিংকস। কালের বিবর্তনে এতে এসেছে উপাদানগত পরিবর্তন। যোগ হয়েছে ক্যাফেইন, কখনো বা ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল, অপিয়েট। ক্যাফেইন যোগ করার কারণ হলো, এটি মস্তিষ্ক উত্তেজিত করে। ফলে নিজের মধ্যে ভালো লাগা শুরু হয়।

কোমল পানীয়তে ফসফরিক অ্যাসিড, ক্যাফেইন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কৃত্রিম চিনিসহ নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদানের মিশ্রণ থাকে। খাদ্য হজমে কৃত্রিম পানীয়ের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়, কিন্তু কৃত্রিম পানীয় সাময়িক স্বস্তি দিলেও এটি প্রকৃতপক্ষে পাকস্থলীর ভারসাম্য নষ্ট করে। তাছাড়া এই ধরনের পানীয় শরীরের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, যা পরবর্তীতে হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যা সৃষ্টি করার পাশাপাশি ক্ষুধামন্দা, অম্লতা বা অ্যাসিডিটি, দাঁতের ক্ষয় বা মেদ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

কোমলপানীয় যাতে সহজে জমে যেতে না পারে কিংবা বরফে রূপান্তরিত না হতে পারে সেজন্য কৃত্রিম পানীয়তে ইথিলিন গ্লাইকল ব্যবহার করা হয়। এই রাসায়নিক উপাদানটি শরীরে নানা ধরনের বিরূপ প্রভাব ফেলে যার অন্যতম হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়া। এছাড়া নিয়মিত কোমলপানীয় পান করলে টাইপ-টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। আমেরিকান ডায়েট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব, তবে পুরোপুরি নাকচ করা সম্ভব হয় না।

কোল্ড ড্রিংক খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু কোকাকোলা নয়, আসলে সব কোম্পানির কোল্ড ড্রিংকেই প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। আর চিনি শরীরকে ভারী করে দেয়। কোল্ড ড্রিঙ্কের মাধ্যমে এই অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি খেলে আমাদের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গরমের দিনে আপনার দেহের পানির অভাব পূরণ করতে পান করতে পারেন ডাবের পানি, লেবুর শরবত ও স্যালাইন, যা আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। কোল্ড ড্রিংকস না পান করে বেশি করে পানি পান করুন যা আপনার কিডনিকে পরিষ্কার রাখবে, আপনাকে নানা ধরনের রোগ থেকে রাখবে নিরাপদ। নিজে স্বাস্থ্য সচেতন হোন, অন্যকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করুন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here