• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

Find us in facebook
সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

যেসব আয়ুর্বেদিক শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

আবহাওয়া দূষণের কারণে আজকাল অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কিছু আয়ুর্বেদিক উপাদান আপনাকে অনেকটাই সাহায্য করতে পারে।

আয়ুর্বেদের ৫ ভেষজ নিয়মিত সেবন করলে শ্বাসকষ্ট সমস্যা হয় না। এমনকী গরমেও কষ্ট হয় না শ্বাস নিতে।

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানগুলোর ব্যবহার শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাগুলো হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে। তবে কোন সময় কোন উপাদান ব্যবহার করবেন তার জন্য বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি।


তো এবার দেখে নিন বিশেষজ্ঞের নির্দেশনাগুলো-
রসুন ও হলুদ: রসুন ও হলুদের মধ্যে রয়েছে প্রদাহ নাশ করার গুণ। একইসঙ্গে এই দুই উপাদান বুকে জমে থাকা মিউকাস পরিষ্কার করে দেয়। এর ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যায়।


আদা: আদা কেবল গলা থেকে শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে না। বরং শ্বাসকষ্টের জন্যও উপকারি। আদার উপাদানগুলো শ্বাসনালীর পেশীকে শিথিল করে। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী সুপারফুড। আদা প্রায় ৫০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ওষুধ এবং চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আরো ভালো ফলাফলের জন্য, হাঁপানির রোগীরা গুড়ের সঙ্গে আদা গুঁড়ো খেতে পারেন। আবার চায়ের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। মিশ্রণটি সকালে খালি পেটে পান করুন। এটি শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা নিরাময়ের জন্য দুর্দান্ত কাজ করে।


তুলসী: ড. দেশপান্ডে পরামর্শ দেন, ‘তুলসী, আয়ুর্বেদের একটি জনপ্রিয় ভেষজ উপাদান। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। যা কেবল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে না, বরং শরীরের শ্বাসযন্ত্রের শক্তিতেও সাহায্য করে। চায়ের সঙ্গে তুলসী বা মধুর সঙ্গে তুলসী পাতার রস পান করুন। এটি হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি এবং সর্দিতে আক্রান্ত রোগীদের উপশম করতে সহায়তা করতে পারে’।


কালমেঘ: কালমেঘ আরেকটি আয়ুর্বেদিক উপাদান। এটি শ্বাসকষ্ট কমাতে সহায়তা করে। এতে অ্যান্টি-প্রদাহ, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়া এবং ইমিউন-উত্তেজক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।


ভাসাকা: ড. দেশপান্ডের মতে, ‘হাঁপানি রোগীদের জন্য আরেকটি উপাদান হলো ভাসাকা। এটি আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত একটি সাধারণ উপাদান। শ্বাসযন্ত্রের একটি শক্তিশালী অ্যাক্টিভেটর হিসেবে কাজ করে। হাঁপানি ছাড়াও এটি ব্রঙ্কাইটিস এবং ফুসফুসের অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় সহায়তা করে’।


সূত্র- হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা

Place your advertisement here
Place your advertisement here