• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

আর রাজনীতি করবেন না আবদুল হামিদ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

দুই মেয়াদে টানা ১০ বছর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের পর এ পদ থেকে অবসর নিয়েছেন মো. আবদুল হামিদ। আর সক্রিয় রাজনীতি করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। অবসর জীবনে নিজ বাড়িতে বসে লেখালেখি করবেন।

সোমবার নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ গ্রহণের পর বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ কথা বলেন আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, আমি তো এখন রিটায়ার্ড হয়ে গেছি। এখন বাড়িতে বসে লেখালেখি করতে পারি। কিন্তু সক্রিয়ভাবে আর রাজনীতি করার পরিকল্পনা নেই।

আবদুল হামিদ বলেন, দেশের মানুষ আমাকে এত বড় ইজ্জত দিয়ে দুই মেয়াদে দেশের সর্বোচ্চ পদে বসিয়েছে। আবার রাজনীতি করলে বা অন্য কোনো পদে গেলে দেশের মানুষকে আমি হেয় করবো। সুতরাং সেটা সম্ভব নয়।

১০ বছর অনেকটা বেড়াজালের মধ্যে ছিলেন। এখন কীভাবে মানুষের সঙ্গে মিশবেন? এ প্রশ্নের জবাবে সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি ১০ বছর বন্দী থাকলেও মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা ছিল। তবে সবার কাছে গিয়ে প্রকাশ করতে পারিনি। এখন সেটা প্রকাশ করতে পারবো।

আবদুল হামিদ বলেন, আমি স্পিকার ছিলাম। আমার এখানে আশার ইচ্ছা ছিল না। আমি পার্লামেন্টে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম। ওখানে নিজেকে মুক্ত বলে মনে হতো।

মো. আবদুল হামিদ প্রথম দফায় ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়ে বঙ্গভবনে উঠেছিলেন। এর আগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের অসুস্থতা ও মৃত্যুর কারণে ৪১ দিন ভারপ্রাপ্ত ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের গৌরব অর্জন করেন তিনি।

সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন না। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবদুল হামিদ ছাড়া আরো ১৬ জন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আবদুল হামিদ স্বাধীন বাংলাদেশে সাতবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। আবদুল হামিদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here