• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার ভোগান্তি কমাবে পদ্মা সেতু

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে ২৫ জুন। সেই অপেক্ষার ক্ষণ গুনতে শুরু করেছে মানুষ। সেতুটি চালু হলে যানবাহনের চাপ কমবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আরেক প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে। এতে ঘাটে যানজট আর যাত্রী ভোগান্তি কমবে। ফলে এ নৌ-রুটেও স্বস্তি ফেরাবে পদ্মা সেতু।

যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা জানান, ঘনকুয়াশা, তীব্র স্রোত, নাব্য, ঘাট ও ফেরি সংকটসহ নানা কারণে বছরজুড়েই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি লেগেই থাকে। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে যানবাহনের চাপ বাড়লে দুর্ভোগ পৌঁছে চরমে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পদ্মা সেতু চালুর পর ঘাটের এ চিত্র আর নাও দেখা যেতে পারে।

কুষ্টিয়া সদরের বাসিন্দা সজিব খান জানান, পদ্মা সেতু চালুর পরও কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের একাংশের মানুষ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুট ব্যবহার করবেন। খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের গাড়ি যাতায়াত করবে পদ্মা সেতু হয়ে। ফলে ঘাটে যানবাহনের চাপ কমবে। আগের মতো আর যানজটে পড়তে হবে না। তাই প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে পদ্মা সেতুর সুবিধা এ রুটে মিলবে বলে মনে করেন তিনি।

গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ফেরিযাত্রী রহম আলী জানান, ঘাটে অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় থাকতে হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে সময় এবং খরচ দুটোই বাঁচবে। ঘাটে আর ভোগান্তি পেহাতে হবে না। আরেক যাত্রী আশিক মাহমুদ জানান, ঈদের সময় কখনো কখনো ১১-১২ ঘণ্টা ফেরিঘাটে বসে থাকতে হয়েছে। পদ্মা সেতুর কারণে গাড়ির চাপ কমবে। ফলে ফেরিঘাটে এতো ভোগান্তি আর হবে না।

তিনি আরও বলেন, যারা ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন যানবাহনে আসে তারাই ঘাট ব্যবহার করবেন। পরিবহন ও ছোট গাড়ির যাত্রীরা বেশিরভাগই পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াত করবেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে সাত হাজার যানবাহন পারাপার হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে যানবাহনের চাপ কমবে।

তবে ছোট গাড়ি ও পরিবহনের সংখ্যা কমলেও ট্রাকের সংখ্যা আগের মতোই থাকবে। কারণ সেতুতে ওজন নির্ধারণ থাকবে। ওভারলেড নিয়ে ট্রাক পারাপার হতে পারবে না। প্রথম দিকে এ নৌ-রুটে ৩০-৪০ শতাংশ যানবাহন কমতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি।

খালেদ নেওয়াজ আরও জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুট ছিল। পদ্মা সেতুর ফলে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটটি আর থাকছে না। ফলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটেও আর ফেরি সংকট হবে না। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটের ফেরিগুলো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে যুক্ত হবে। এতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে বড় ধরনের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ পারাপার হতে পারবেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here