• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

গাজায় শিশুহত্যা চলছে, কোথায় বিশ্বমানবতা- প্রধানমন্ত্রী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

ফিলিস্তিনের গাজায় শিশু ও নারীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসহ বিশ্ব মোড়লদের চুপচাপ থাকায় কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দিতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল রবিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অনেকেই শিশু অধিকারের কথা বলে, শিশু শিক্ষার কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার, আর পাশাপাশি আমরা দেখি একটা দ্বিমুখী কার্যক্রম। গাজায় শিশুদের ওপর যখন বোমা ফেলা হয়, হত্যা করা হয়, হাসপাতালে বোমা ফেলা হয়, ফিলিস্তিনিদের ওপর যখন আক্রমণ করা হয়, তখন এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের সেই মানবিকতাবোধটা কোথায় থাকে? সেটা আমার প্রশ্ন। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই।’

বাংলাদেশ সব সময় নির্যাতিতদের পাশে রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের সংঘাত চলাকালে বাস্তুচ্যুত নারী-শিশুসহ ১০ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন।

শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লেখাপড়া খুবই দরকার, কিন্তু এই লেখাপড়ার নামে তাদের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করবেন না। আমরা এখন চাচ্ছি খেলাধুলা এবং নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই তারা তাদের লেখাপড়া শিখবে। যাতে তার ভেতরের সুপ্ত প্রতিভা ও মেধা বিকাশের সুযোগ হয়।’

প্রধানমন্ত্রী শিশুকাল থেকেই সততা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার শিক্ষা, জাতীয় দিবসগুলো সম্পর্কে শিক্ষাদান এবং রাস্তায় চলার নিয়ম-কানুন তথা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়ার জন্যও অভিভাবক-শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজকের শিশুদের কাছে এটাই আমার অনুরোধ গুরুজনদের মানতে হবে, শিক্ষককে মানতে হবে, মা-বাবার কথা শুনে চলতে হবে, মা-বাবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তাহলে কেউ বিপথে যাবে না।’

শিক্ষক-অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার জন্য ছোটবেলা থেকেই সততার শিক্ষা দিতে হবে। সেই সঙ্গে গান-বাজনা ও লেখাপড়া, ছবি আঁকা থেকে শুরু করে ধর্মীয় শিক্ষাসহ সব ধরনের কারিকুলামের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।’

সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ এবং মেধা ও মননের উত্কর্ষ সাধনের লক্ষ্যেই তাঁর সরকার কারিকুলাম তৈরি করে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, মর্মে অভিমত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অভিভাবক ও শিক্ষক আপনাদের কাছেও আমার এই অনুরোধ থাকবে, ছোটবেলা থেকেই তাদের ভেতরে যেন মানবিক গুণগুলো গড়ে উঠতে পারে সেদিকে যেমন দেখবেন, তেমনি এই শিশুদের ভেতরে যে সুপ্ত প্রতিভা ও মেধা রয়েছে সেই সুপ্ত প্রতিভা ও মেধা ও মনন বিকাশের সুযোগ যেন তারা পেতে পারে সেদিকেও লক্ষ রাখবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন তো শিশুরা বিশ্বকে চোখের সামনে দেখতে পায়। কাজেই ক্লাসে শুধু বই পড়া নয়, চোখে দেখেও যেন তারা শিখতে পারে। আর আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক’। আর সেটাই আমাদের সরকারের কাম্য।”

Place your advertisement here
Place your advertisement here