• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

মিয়ানমারে মূল আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় মোখা, ঝুঁকি কমেছে বাংলাদেশে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত হানবে মিয়ানমারের সিটওয়ে অঞ্চলে। 

তবে মোখার অগ্রভাগ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও উত্তর-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। রোববার সকালের দিকে উপকূল অতিক্রম শুরু করে এ ঘূর্ণিঝড়। সবশেষ তথ্যে বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কমে এসেছে। 

রোববার বেলা সোয়া ১১টায় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সাইক্লোন আই (ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র) টেকনাফের ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরবর্তী অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করায় বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে ঝুঁকি কমে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হতে পারে।

আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার মূল অংশ টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিয়ে অতিক্রম করছে। মিয়ানমারের সিটওয়ে এলাকা দিয়ে অতিক্রম করায় বাংলাদেশের কক্সবাজার, টেকনাফ অঞ্চলে ঝুঁকি এখন অনেকটা কম। বেশিরভাগ ঝুঁকি হবে মিয়ানমারে। আমাদের এইদিকে ঝুঁকি অনেকটা কমে আসছে।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের ১৯ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিকেল ৩টার মধ্যে এটি আঘাত হানতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মোখা সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল ৩টার মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিটওয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here