• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

বিস্ফোরক পরিদফতরের এক জায়গায় মিলবে সব সেবা                       

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

 

বিস্ফোরক পরিদফতরে এক জায়গায় পাওয়া যাবে সব সেবা। এ জন্য বাড়ছে লোকবল। ১০৪ জনের বিস্ফোরক পরিদফতরে এখন লোকবল হবে ১৫৯ জন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরক পরিদফতরের কাজের পরিধি বাড়ায় সরকার অনেক দিন থেকে পরিবর্ধনের চিন্তা করছে। বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে জ্বালানি বিভাগের এক বৈঠকে বিস্ফোরক পরিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৫৯ জনের অগ্রানোগ্রাম চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই অগ্রানোগ্রামটি চূড়ান্ত করা হবে।

বিস্ফোরক পরিদফতরে ৩১ জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা রয়েছেন। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একজন করে বিস্ফোরক পরিদর্শক রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক এবং দুজন উপপ্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক রয়েছেন।

বিস্ফোরক পরিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধিসহ এগুলো নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব বিস্ফোরক পরিদফতরের হলেও লোকবলের অভাবে কাজগুলো ঠিকভাবে করা সম্ভব হয় না। লোকবল বাড়লে এসব কাজ অনেক সহজ হয়ে আসবে বলে আশা করছি।

বিস্ফোরক পরিদফতরের একটি অন্যতম প্রধান কাজ বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য আমদানির অনুমোদন দেওয়া। এখন পর্যন্ত এসব পণ্য আমদানিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুমোদন দিতে হয়। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদফতর এবং বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয় অন্যতম। সরকার চাইছে ওয়ান স্টপ সেন্টার থেকে বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য আমদানির অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে। এতেও লোকবল বেশি প্রয়োজন হবে। এ জন্য ১৫৯ জনের নতুন জনবলকাঠামো (অগ্রানোগ্রাম) তৈরি করা হয়েছে।

বিস্ফোরণ ও অগ্নি দুর্ঘটনাপ্রবণ বিপজ্জনক পদার্থ (বিস্ফোরক, গ্যাস, পেট্রোলিয়ামসহ প্রজ্বলনীয় তরল পদার্থ, ক্যালসিয়াম কার্বাইডসহ প্রজ্বলনীয় কঠিন পদার্থ, জারক পদার্থ ইত্যাদি) উৎপাদন বা তৈরি, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, পরিবহন বা সঞ্চালন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ।

বিস্ফোরক পরিদফতর সূত্র জানায়, বাণিজ্যিক বিস্ফোরক ও অন্যান্য বিপজ্জনক পদার্থের বিধিবিধান সংক্রান্ত ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগ রক্ষা এবং বিধিবিধান প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করে পরিদফতর।

বিস্ফোরক আইন, ১৮৮৪ ও তদধীন প্রণিত বিস্ফোরক বিধিমালা ২০০৪, এলপিজি বিধিমালা, ২০০৪, গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা, ১৯৯১, গ্যাসাধার বিধিমালা, ১৯৯৫, সিএনজি বিধিমালা, ২০০৫, এমোনিয়াম নাইট্রেট বিধিমালা, ২০১৮ এবং পেট্রোলিয়াম আইন, ২০১৬ ও তদধীন প্রণীত পেট্রোলিয়াম বিধিমালা, ২০১৮, কার্বাইড বিধিমালা, ২০০৩, প্রাকৃতিক গ্যাস নিরাপত্তা বিধিমালা, ১৯৯১-এর প্রয়োগ ও প্রশাসন ৪। বিস্ফোরক উৎপাদন প্লান্ট, গ্যাস ফিল্ড, সিলিন্ডার বা গ্যাসাধারে গ্যাস ভর্তিকরণ প্লান্ট, সিলিন্ডার বা গ্যাসাধার ও উহার আনুসঙ্গিক সরঞ্জাম নির্মাণ প্লান্ট, সিলিন্ডার পরীক্ষা কেন্দ্র, গ্যাস মজুত প্রাঙ্গণ, বিস্ফোরক ম্যাগাজিন, ম্যাচ ফ্যাক্টরি, তৈল ক্ষেত্র, পেট্রোলিয়াম শোধনাগার, পেট্রোলিয়াম মজুত স্থাপনা, পেট্রোলিয়াম মজুতাগার, পেট্রোলিয়াম পরিবহন যান বা অয়েল ট্যাঙ্কার, সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন, গ্যাস সঞ্চালন লাইন ও আনুসঙ্গিক স্থাপনাদি এবং বিপজ্জনক পদার্থ হ্যান্ডলিং প্রাঙ্গণ পরিদর্শন এবং অনুমোদন বা লাইসেন্স প্রদানের দায়িত্বও রয়েছে পরিদফতরের হাতে।

এ ছাড়া বিপজ্জনক পদার্থ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ বা অগ্নিদুর্ঘটনার তদন্তানুষ্ঠান এবং দুর্ঘটনার পরিস্থিতি ও কারণ নির্ণয় এবং প্রতিকারের পরামর্শ প্রদান, বিস্ফোরক ম্যাগাজিন, ধারণপাত্র, পেট্রোলিয়াম পরিবহন যান বা ট্যাঙ্কার, গ্যাস সিলিন্ডা বা/গ্যাসাধার ইত্যাদির ধরন অনুমোদরনর কাজও করে পরিদফতর।

Place your advertisement here
Place your advertisement here