• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

পানির নিচে বোরো ক্ষেত, কৃষকদের মাথায় হাত

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

অসময়ে মাঘের বৃষ্টিতে গাইবান্ধায় বিভিন্ন এলাকায় সদ্য রোপনকৃত ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি সরিয়ে না গেলে পানির নিচে ডুবে থাকা এসব ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া টানা দু দিনের হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় এসব ফসলি ক্ষেত।

রবিবার সরেজমিনে সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন, রামচন্দ্রপুর ও বল্লমঝাড় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নিচু এলাকার বোরো ধানের জমিগুলো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এর মধ্যে বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম রাধাকৃষ্ণপুরে গ্রামের বিশ একর কৃষি জমি পানির নিচে তলিয়ে আছে। দেখে সহজে বোঝার কোনও উপায় নেই সেগুলো কৃষি জমি। মনে হবে যেন পুকুর কিংবা বিল। অথচ পানির নিচে ডুবে থাকা প্রত্যেকটি জমিতে লাগানো আছে বোরো ধান। এসব ক্ষেত নষ্ট হলে ওই এলাকার অন্তত ৩৫ জন কৃষক অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পশ্চিম রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের বর্গাচাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমি আদি (বর্গা) নিয়ে উন্নত জাতের হাইব্রিড ধান লাগিয়েছি। চারা রোপন করার মাত্র ১২ দিন হয়েছে। পুরো জমির ক্ষেত তিন দিন যাবত পানির নিচ তলিয়ে আছে। আমি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আবাদ করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় পনের হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এসময় ধান ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন তিনি।

একই এলাকার কৃষক শরিফুল ইসলাম তারা বলেন, আমার তিন বিঘা জমির ধান ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে আছে। ডুবে যাওয়ার তিন দিন হলো। আর কয়েকদিন এভাবে পানির নিচে থাকলে ধানের ক্ষেত পচে নষ্ট হয়ে যাবে।

কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, আমার ৫৮ শতাংশ ধানের জমি পানিতে ডুবে আছে। মাঘ মাসে এরকম বৃষ্টি আমার জীবনে দেখিনি। হঠাৎ বৃষ্টির কারণেই এসব ফসল তলিয়ে গেছে। এখানে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নাই।

একই অবস্থা জেলার অধিকাংশ নিচু এলাকার। টানা দুদিনের বৃষ্টিতে ধানের জমি ছাড়াও কৃষকের আলুর ক্ষেতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে জমি থেকে পানি সরে না গেলে আলুতেও পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল এমরান বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার তুলনামূলক কিছু নিচু জমির ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এখন আর বৃষ্টি না হলে কোনো জমির ফসল ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে, জাত ভেদে কোনো ধান ক্ষেত সাত থেকে ১০ দিন পানির নিচে তলিয়ে থাকলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসময় যেকোন উপায়ে ক্ষেতের পানি নিষ্কাশন করতে কৃষকদের পরামর্শ দেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিনক বলেন, কি পরিমান জমি, কোন কোন ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- তা এখনো নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। সব উপজেলাতেই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা নিরুপনে কাজ করছে পাশাপাশি কৃষকদের পানি নিষ্কাশনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here