• শনিবার ১১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

  • || ০২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

নোবেল কমিটির সমালোচনার মুখে শান্তি পুরস্কার বিজয়ী আবি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ২০১৯ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদকে আহ্বান জানিয়েছে তিগ্রে অঞ্চলে গৃহযুদ্ধ এবং সংঘাতের অবসান ঘটাতে। গত ১৩ জানুয়ারি নোবেল কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, 'প্রধানমন্ত্রী এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে আবি আহমেদের একটি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে সংঘাতের অবসান এবং শান্তিতে অবদান রাখার।' 

উল্লেখ্য, নোবেল কমিটির জন্য দৃষ্টান্তটি খুবই বিরল, তাঁরা নিজেরাই যাকে পুরস্কার দিয়েছে, সেই বিজয়ীকেই আবার তাঁরা সমালোচনা করছে।

আবি আহমেদ ইথিওপিয়া এবং প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে তার কাজের জন্য প্রধানত তিনি শান্তি পুরস্কার পান। কিন্তু ২০২০ সালের নভেম্বরে তিনি টাইগ্রেতে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপে নিয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে যারা সরকারের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল।

আবির সামরিক পদক্ষেপের কারণে গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার জীবন বিনষ্ট হয় এবং দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের মতে, টাইগ্রে অবরোধ করে রাখার কারণে সেখানকার জনগণ মারাত্মক অর্থ অসুবিধার মধ্যে পড়ে এবং সেখানে খাদ্য ও ওষুধ না আসার কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।

২০২০ সালের শরত্কাল থেকে ইথিওপিয়ায় বিস্তৃত সশস্ত্র সংঘাতের দিকে মোড় নেয়। নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসেন বিবৃতিতে বলেছেন, ’সেখানে মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর আকার ধারণ করেছে এবং এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় যে, ক্ষুধার্তদের মানবিক সাহায্য পর্যন্ত পরিমাণে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, নোবেল বিজয়ী আবি আহমেদের তীব্র সমালোচনা করলেও নোবেল কমিটির পক্ষে তাঁকে দেওয়া শান্তি পুরস্কার প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়, যা নোবেল পুরস্কারের রীতিরও পরিপন্থি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here