• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার বর্জ্য পরিশোধন হবে ওয়াসার পয়ঃশোধনাগারে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

রাজধানীতে বাসা বাড়ির বেশিরভাগ পয়:বর্জ্যের লাইন দেওয়া হয়েছে খাল বা লেকে। এসব বর্জ্যের কারণে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। রাজধানীতে ওয়াসার ধারণ ক্ষমতার বেশি পয়ঃবর্জ্য তৈরি হওয়ার কারণে ওয়াসা সেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সক্ষম ছিলো না। এতে গুলশান, বনানী, বারিধারার বেশিরভাগ বাড়ির মালিক বাড়ির পয়ঃসংযোগ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লেকে দিয়েছেন। 

এবার রাজধানীর পয়ঃবর্জ্য শোধন করে পরিষ্কার ও দুর্গন্ধমুক্তভাবে সেই পানি নদীতে ফেলতে ঢাকা ওয়াসা মোট পাঁচটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালে শুরু হওয়া দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প উদ্বোধন হলে গুলশান, বনানী, বারিধারা, বসুন্ধরা, মহাখালী, ডিওএইচএস, তেজগাঁও, মগবাজার, ইস্কাটন, নিকেতন, কলাবাগান (আংশিক) এবং হাতিরঝিল ও তৎসংলগ্ন এলাকার পয়ঃবর্জ্য পরিশোধন করা যাবে। এতে বালু নদীতে নিষ্কাশন এবং এর মাধ্যমে পানি ও পরিবেশ দূষণ রোধ হবে। এই প্রকল্পে দিনে ৫০ কোটি লিটার পয়ঃবর্জ্য পরিশোধন হবে। আর এর সুফল পাবে রাজধানীর ৫০ লাখ মানুষ।

বর্তমানে রাজধানীতে ওয়াসার মাত্র ২০ শতাংশ এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে। ৮০ শতাংশ এলাকাতেই পয়:লাইন নেই। ঢাকা শহরে প্রতিদিন তৈরি হওয়া ১৭৫ কোটি লিটার পয়ঃবর্জ্যের মধ্যে মাত্র ৩৫ কোটি লিটার পয়ঃবর্জ্য শোধন করতে পারে ঢাকা ওয়াসা। বাকি ১৪০ কোটি লিটার পয়ঃবর্জ্য ঢাকা ও চারপাশের নদী, খাল এবং জলাশয়ে মিশছে। এর ফলে নগরীর পরিবেশ দূষণ এবং বাসযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, পুরো ঢাকার পয়োবর্জ্য লাইনের আওতায় আনতে ২০১৩ সালে ঢাকা মহানগরীর পয়োনিষ্কাশন মহাপরিকল্পনা তৈরি করে ওয়াসা। ঢাকার চারপাশের নদীদূষণ রোধে পাঁচটি শোধনাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আফতাবনগরের কাছে দাশেরকান্দিতে শোধনাগার প্রকল্প নেয় ওয়াসা। দাশেরকান্দি প্রকল্পটি অনুমোদন পায় ২০১৫ সালে। এই বছরেই কাজ শুরু হলে এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। 

শুরুতে প্রকল্পের খরচ ছিল ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এতে প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে ২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে চীন সরকার। বর্তমানে প্রকল্পটির পয়ঃবর্জ্যের লাইন তৈরির কাজ চলছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশন মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজধানীতে বাকি আরো চারটি শোধনাগার হবে উত্তরা, মিরপুর, রায়েরবাজার ও পাগলায়।

ওয়াসা জানায়, ‘ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা’- কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকা শহরের পানি ব্যবস্থাপনা আমূল পরিবর্তন এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে কতগুলো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে শুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা শহরকে একশতভাগ সুয়ারেজ নেটওয়ার্কে মধ্যে নিয়ে আসা এবং পয়ঃবর্জ্য ট্রিট করে নদীতে ফেলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই পাঁচটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাসেরকান্দি একটা। দাসেরকান্দি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। চীনা প্রতিষ্ঠান এতে কাজ করেছে। 

এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার মুখপাত্র উপ- প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক বলেন, দাসেরকান্দি প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ। এটি এখন শিগরিই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এর মাধ্যমে রাজধানীর প্রায় ৫০ লাখ লোক উপকৃত হবে। দাশেরকান্দি শোধনাগার প্রকল্পের নির্ধারিত এলাকার জন্য পাইপলাইন নেটওয়ার্ক একটি আলাদা প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। ইতিমধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here