• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে পাবনা বিসিক শিল্পনগরী 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) পাবনা শিল্পনগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো।

গতকাল শুক্রবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার এ এইচ এম মাসুম বিল্লাহ পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনা প্রতিরোধমূলক সব স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব কারখানা চালু রয়েছে যা এ শিল্পনগরীর কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিং করছেন।

পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর সূত্রে জানা যায়, এখানে ছোট-বড় ২০৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমানে ১৬৭টি শিল্প কারখানা চালু রয়েছে এ শিল্পনগরীতে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি ইউনিট পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত।

এছাড়া এই শিল্পনগরীতে বর্তমানে উৎপাদনরত অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২০টি খাদ্য ও সহজাত (পশু খাদ্য) পণ্য যেমন- চাল, ডাল, সরিষার তেল, আটা, ময়দা, সুজি, সেমাই, পশু খাদ্য, ভূষি, খৈল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ১৪টি হালকা প্রকৌশল যন্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ৪টি সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ৪টি রাসায়নিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ২টি প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য ধরনের বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান।

এদিকে পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে সরকার পরিচালিত একটি হাঁস-মুরগী খামার (হ্যাচারী) রয়েছে। হ্যাচারীটি থেকে বছরে বাচ্চা ফুটানোর জন্য প্রায় ৩ লাখ ডিম ও প্রায় ৩ লাখ এক দিনের মুরগীর বাচ্চা স্থানীয় মুরগীর খামারগুলোতে সরবারহ করা হয়, যা স্থানীয় আমিষের চাহিদা পূরণে মূল্যবান ভূমিকা রাখছে।

শিল্পনগরী কর্মকর্তা কামাল পারভেজ জানান, বিসিক শিল্পনগরী পাবনাতে দৈনিক প্রায় ৫০০ টন চাল, ৩৫০-৪০০ টন বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং ৭-৮ টন সরিষার তেল উৎপাদিত হয় যা উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশে সরবরাহ করা হয়।

পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শিল্পনগরীর উৎপাদনরত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকরা মাস্ক ব্যবহার করে ও প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করছে। এছাড়া অফিসে বা কারখানায় প্রবেশের পূর্বে সবাই সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাতকে জীবাণুমুক্ত করছেন। পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর পক্ষ থেকে এসব কার্যক্রম সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ শিল্পনগরীতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে ১১০ দশমিক ৫৩ একর জায়গা নিয়ে যাত্রা শুরু করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা বিসিকের এই শিল্পনগরী। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে আরও ১৫ একর জমিতে এ শিল্পনগরী সম্প্রসারিত করা হয়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here