• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১২ হাজার মানব পাচার অপরাধ সংঘটিত

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

বাংলাদেশে ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এক দশকে প্রায় ১২ হাজার মানব পাচার সম্পর্কিত অপরাধের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রী।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন নারী মৈত্রীর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোমেনুল হক মোমেন।

বাংলাদেশ পুলিশ ও ইউএনডিপির তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রত্যেকটি সীমান্তবর্তী জেলা মানব পাচারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এসব জেলা থেকে বেশির ভাগই প্রাথমিকভাবে বড় শহরগুলোতে আসে। সেখান থেকেই বিভিন্ন এলাকাতে নতুবা পাচার হয়ে দেশের বাইরে চলে যায়। এদেরকে পতিতাবৃত্তি, বাসা-বাড়ির কাজে ও ভিক্ষাবৃত্তিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

মোমেনুল হক মোমেন বলেন, ‘২০০১ সালে মানব পাচার সম্পর্কিত অপরাধের ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ৯০৪টি। গত এক দশকে ১১ হাজার ৮৭৬টি তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আর প্ল্যান বাংলাদেশের তথ্য মতে, ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত অন্তত ২ লাখ নারী মিথ্যা প্রলোভনের শিকার হয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে গিয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েছে।’

গত এক দশকে কতজন শিশু পাচার হয়েছে, তার তথ্য বিক্ষিপ্তভাবে সংরক্ষিত হলেও তেমন কোনো তথ্য প্রকাশ না পাওয়ায় শিশু পাচারের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি বলেও জানান নারী মৈত্রীর এই কর্মকর্তা।

তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘ভূমিষ্ঠ শিশুও পাচার হয়। তাদের কিডনি পাচার হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে কোনো রিপোর্ট হয় না। এক রিপোর্টে দেখা গেছে, বাংলাদেশে যত শিশু মিসিং বা ট্রাফিকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে শতকরা ২৭ ভাগ দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন মাধ্যমে এবং টেলিভিশন মিডিয়াতে ১২ ভাগ রিপোর্ট প্রকাশ পায়।’

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এ নবজাতকদের মিসিংয়ের কোনো তথ্য কোথাও উল্লেখ নেই। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন সংগঠনগুলো কাজ করলেও তাদের মধ্যে যথেষ্ট সমন্বয়ের অভাবসহ ভিকটিমদের অভিযোগ তালিকাও নেই বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এ সময় মানব পাচার রোধসহ শিশুকে মানবসম্পদ হিসেবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২২ বাস্তবায়ন, মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ বাস্তবায়ন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং, শিশুপাচার রোধ ও শিশু সুরক্ষায় দায়িত্বশীলদের ভূমিকা এবং শিশু সুরক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়ন ও প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

Place your advertisement here
Place your advertisement here