• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

শেখ হাসিনার কাছে কোনো অপকর্মকারীর ছাড় নেই- কাদের

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার লক্ষ্যে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন থেকে শুরু করে মধ্যম আয়ের এই যাত্রাপথে ছিল অনেক প্রতিকূলতা। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকারগুলোর মতোই আওয়ামী লীগ সরকারও সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। সোমবার গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাত্কারে আওয়ামী লীগকে ঘিরে চলমান বেশ কিছু সমালোচনার জবাব দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে কোনো অন্যায় ও অপকর্মকারীর ছাড় নেই।’

অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের শুদ্ধি অভিযানে সরকারি দলের অনেক নেতাকর্মীর নাম আসার বিষয়ে আওয়ামী লীগের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার চলমান শুদ্ধি অভিযান অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য খাতসহ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান প্রধানমন্ত্রী স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজ উদ্যোগেই পরিচালনা করছেন। অনিয়ম উদ্ঘাটনও করেছেন নিজস্ব মেকানিজমে। এ থেকে বোঝা যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অবস্থান স্পষ্ট এবং কঠোর। তিনি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না, দেবেন না। দুর্নীতিবাজদেরও কোনো দলীয় পরিচয় নেই। অনিয়ম করে দলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ নেই।’

দলে অনুপ্রবেশকারীরা যে ক্ষতি করছে, তা বন্ধে দল কী করার কথা ভাবছে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ কথা ঠিক যে সরকারি দলে অনেক সময় সুবিধাবাদীরা সুযোগ খোঁজে। অনেকে নিজের রং বদলিয়ে অবস্থান নেয়। জড়িয়ে পড়ে নানা ধরনের অপকর্মে। অনুপ্রবেশকারীরা সরকার ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। তবে যে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলগতভাবে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। আমরা দলীয়ভাবে সকল পর্যায়ে জানিয়ে দিয়েছি, দলের কোনো স্তরে কোনোভাবেই অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।’

পদ্মা সেতুর অগ্রগতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনাকালে এক মুহূর্তের জন্যও পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ থেমে থাকেনি। প্রকল্পে কোনো আর্থিক সংকট নেই। ইতিমধ্যে মূল সেতুর প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।’ করোনার প্রভাবে, নাকি আর্থিক সংকটে অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে—এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করোনার আকস্মিকতা কাটিয়ে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহে গতি ফিরেছে। প্রথম দিকে কিছু প্রকল্পে ধীরগতি থাকলেও এখন পুরোদমে চলছে। নতুন প্রজন্মের মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজে গতি সঞ্চার হয়েছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণকাজও এগিয়ে চলেছে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজে গতি ফিরে এসেছে।’

‘সরকার ও দল একাকার হয়ে গেছে’—এমন সমালোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার ও দল আলাদা সত্ত্বা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সরকার থেকে দল আলাদা থাকতে হবে। একাকার হলে দলেরই ক্ষতি হবে। আর আমরা সেভাবেই দলকে এগিয়ে নিচ্ছি।’ ইতিহাস বিকৃতকারীদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইতিহাস বিকৃতি। তারা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে খণ্ডিত আর বিকৃত ইতিহাস। কিন্তু দেখুন, আজ টুঙ্গিপাড়া জাতির তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। যারা ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, তারাই আজ নিক্ষিপ্ত হচ্ছে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।’

দলে পুরোনোরা মূল্যায়িত হচ্ছে না—এমন অভিযোগ সঠিক নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রবীণের অভিজ্ঞতা এবং নবীনের তারুণ্যের শক্তিতেই এ দল পরিচালিত হচ্ছে। এখানে প্রবীণেরা যেমন সম্মানিত, অপেক্ষাকৃত নবীন নেতৃত্বও নিজেদের প্রকাশ করার সুযোগ পায়। নবীন ও প্রবীণের মাঝে সমন্বয় করেই জননেত্রী শেখ হাসিনা দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন।’

দেশের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত্ সম্পর্কে জানতে চাইলে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একজন সরকারপ্রধানই নন, একজন রাষ্ট্রনায়কও। তার ভাবনায় পরবর্তী নির্বাচন নয়, পরবর্তী জেনারেশন। আওয়ামী লীগ এদেশের ভবিষ্যত্ নিয়ে, পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে ভাবে বলেই তিনি গ্রহণ করেছেন ১০০ বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধ সোনার বাংলা অভিমুখে যে যাত্রা, তা পৌঁছে যাবে বিজয়ের স্বপ্নদুয়ারে, ইনশাআল্লাহ।’

Place your advertisement here
Place your advertisement here