• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

এবার সনদ জালিয়াতির অভিযোগ সেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের বদরগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আগেই ফেঁসেছেন অধ্যক্ষ মাজেদ আলী খান। এবার তার বিরুদ্ধে এক শিক্ষকের সনদপত্র জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক শামীম আল মামুনের সনদপত্র জালিয়াতির সঙ্গে তিনি জড়িত বলে জানা গেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, মাজেদ আলী খান বদরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের সময় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার কর্মকাণ্ডে কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক শামীম আল মামুন প্রতিবাদ করলে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা সভা করে চার সদস্যের একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় অধ্যক্ষ মাজেদ আলী খানের ৪৬ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৯ টাকার জালিয়াতি ধরে ফেলে ওই কমিটি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাজেদ আলী খান বাংলা বিভাগের প্রভাষক শামীম আল মামুনকে শায়েস্তা করতে নানা ষড়যন্ত্র করেন। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রভাষক শামীম আল মামুনের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাই করার জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে পাঠান।

২৭ ফেব্রুয়ারি এনটিআরসিএ ওই প্রভাষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সঠিক বলে মতামত ব্যক্ত করে। এরপর অধ্যক্ষ তার অনুসারী শিক্ষকদের সহায়তায় ওই শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ জাল করে আবার এনটিআরসিএ’র কাছে পাঠান। এ দফায় এনটিআরসিএ ওই সনদটি জাল হিসেবে উল্লেখ করে।

অভিযোগে আরো বলা হয়, ২০০৭ সালে শামীম আল মামুনের এনটিআরসিএ’র পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের কোনো যোগ্যতা ছিল না। তিনি ২০১২ সালে এনটিআরসিএ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং উত্তীর্ণ হন।

২০১৬ সালে বদরগঞ্জ কলেজ সরকারি হওয়ার পর কলেজ পরিদর্শনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) তিনজন কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে শামীম আল মামুনের এনটিআরসিএ পরীক্ষার সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য সার্টিফিকেট সঠিক বলে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপরও অধ্যক্ষ তাকে শায়েস্তা করতে সনদ জালিয়াতি করেন।

শামীম আল মামুন জানান, বদরগঞ্জ কলেজ সরকারি হলেও অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী এ সুবিধার আওতায় আসেননি। এ কারণে অধ্যক্ষ ঈর্ষান্বিত হয়ে সনদ জালিয়াতি করেন।

অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাজেদ আলী খান বলেন, আদালত আমাকে শামীম আল মামুনের বিরুদ্ধে সব ডকুমেন্ট প্রদর্শন করতে বলেছে। আমি সেগুলো আদালতে জমা দিয়েছি। আমার নামে রটানো অর্থ আত্মসাত ও সনদ জালিয়াতির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট।

Place your advertisement here
Place your advertisement here