মুক্তি, স্বাধীনতা ও ইসলাম
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২১
Find us in facebook
ইসলাম সমাজ ও জীবনমুখী এমন এক ব্যবস্থা, যা সামাজিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। রসুল (স) মক্কার সামন্তবাদী নেতৃত্বের বেড়াজালে আটকা মানুষের মুক্তির পথ খুঁজতেই ধ্যানমগ্ন থাকতেন। এ ধ্যান ছিল মানুষের মুক্তির জন্য, একই রক্ত-মাংসের মানুষের বেড়াজালে আবদ্ধ ও শৃঙ্খলিত জিঞ্জির ভেঙে ফেলার, বুদ্ধি ও সমাজ মুক্তির আন্দোলনের চূড়ান্ত সফলতায় মানুষ পেল আশরাফুল মাখলুকাতের মর্যাদা। মক্কাবাসী অহংকার করেছিল, তাদের পতন হতে বেশি দিন লাগেনি। মানুষের প্রতি অত্যাচারের মাত্রা এত বেশি পরিমাণ ছিল যে তা বহন করতে মক্কাবাসী অপারগ হয়ে উঠেছিল। রসুল (স) যারপর নাই চেষ্টারত ছিলেন এসব অত্যাচারিত মানুষকে মুক্ত করার জন্যে। আবিসিনিয়া ও মক্কা হতে মদিনায় হিজরতের মূল কারণ ছিল মুক্তির নেশা।
মানুষ একমাত্র তার রবের কাছেই দায়বদ্ধ আর কারো কাছে নয়। এ বিষয়টি মানুষ ভুলতে বসেছিল। ইসলাম প্রভুত্বের সকল জাল ছিন্ন করে ঘোষণা করে, ‘আমি তাকে (ভাল-মন্দ) দুটো পথ দেখিয়েছি। কিন্তু সে ঢালু গিরিপথে প্রবৃত্ত হয়নি (যা তাকে সহজে সাফল্যে পৌঁছে দিত)। তুকি কি জান ঢালু গিরিপথ কি? একটি ঘাড় (একজন দাস) মুক্ত করে দেওয়া অথবা দুর্ভিক্ষের দিন খাওয়ানো, নিকট সম্পর্কের ইয়াতিমকে কিংবা অভাবগ্রস্ত মিসকিনকে (বালাদ-১১-১৬)।’ রসুল (স)-এর নেতৃত্বে দাসত্ববাদী মক্কায় এই যে দাস মুক্তির আন্দোলন শুরু হলো-এর সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন রসুল (স) নিজেই। রসুল (স) জন্মের পূর্ব থেকে পিতা-মাতার আনিত দাসী বারাকাহকে রসুল (স) ছোট সময়েই মুক্ত করে দিয়েছিলেন। কিন্তু রসুল মাতা আমেনাকে কথা দেওয়ার কারণে তিনি রসুল মুহাম্মদকে (স) ছেড়ে যাননি। এমনকি তিনি এক পর্যায়ে তাকে উম্মী বা ‘আমার মা’ বলে সম্বোধন করতেন। তাকে বিবাহ দেওয়ার পর তার একটি ছেলেসন্তান হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এ সন্তানের নামে উম্মে আইমান হিসেবে তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন। রসুল (স) শুধু দাসদের মুক্ত করেই ক্ষান্ত হননি; তিনি দাসকে সন্তান বানিয়েছেন, তিনি ক্রীতদাসকে ভাইয়ের মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন, তিনি গোলামকে সেনা অধিনায়ক বানিয়েছেন। বংশানুক্রমিক দাসানুদাস কৃষ্ণবর্ণ হাবশি বিলাল (রা)-কে মসজিদে নববির প্রধান মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব অর্পণ করে দেখিয়েছেন ইসলামে মানুষের স্বাধীনতাই মূখ্য। এখানে সাদা-কালো আর ধনী-দরিদ্রের কোনো বিভাজন নেই। রসুল (স) বলেন,‘ সাদার উপর কালো, আরবের ওপর অনারবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠত্ব কেবল তাদের যারা খোদাভীরু।’ দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙার এ জয়গান যুগে যুগে মানুষকে দিয়েছে ভালোভাবে বেঁচে থাকার প্রেরণা। এক রাব্বুল ইজ্জতের দাসত্বই মানুষকে হাজারো দাসত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাওহিদের এ ইস্পাতঢালা বাণীর অনুসারী রসুলের সাহাবিরা ছিল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ।
পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশকে দাসত্বের দাসখতে আবদ্ধ করতে চেয়েছে। এ কাজ করতে গিয়ে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করেছে। কিন্তু বাংলার মানুষ শৃঙ্খলিত হবার নয়। এরূপ অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ইসলাম স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে। মজলুম জনতার কাতারে এসে কাজ করার জন্য সকলকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মদিনার সনদের মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজের যে চিত্র রসুল (স) আমাদের সামনে উপহার দিয়ে গেছেন এর সঠিক বাস্তবায়ন হলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা আল্লাহর ওপর ভরসা করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এসব মহান মুক্তিযুদ্ধার জন্য রইল আমাদের প্রাণখোলা দোয়া। আল্লাহ যেন তাদেরকে শহিদ হিসেবে কবুল করেন। যারা বেঁচে আছেন তাদের উত্তম জীবন দিন। পরিশেষে বলব, যে নীতি ও সামাজিক ন্যয়িবিচারের কথা বলে পাকিস্তানি নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল, কেবল এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার মনজিলে পৌঁছতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
লেখক :ড. মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইন
অধ্যাপক, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ও ইন্টারফেইথ স্পেশালিস্ট
- কুড়ানো শালপাতাই যাদের জীবিকার মাধ্যম
- নীলফামারীতে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা
- ফুলবাড়ীতে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার
- বালিয়াডাঙ্গীতে ১৬টি জাল ভোট দেওয়ায় যুবকের কারাদণ্ড
- ভোট দিতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন কৃষক
- ঠাকুরগাঁওয়ে অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে ভোট দিলেন রোগী
- প্রতিদিন দই খাওয়ার উপকারিতা
- ‘পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কাজ করছে টিসিবি’
- ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
- ‘পোশাক শিল্পের মাধ্যমেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে’
- ১৩৯ উপজেলায় ভোট আজ, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
- গাইবান্ধার বামনডাঙ্গায় বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন বিরতির দাবি
- ঠাকুরগাঁওয়ে কলা খাইয়ে অজ্ঞান করে অটোরিকশা ছিনতাই
- হাকিমপুরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম
- কাহারোলে বোরো ধানে বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন
- নাগেশ্বরীতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হলেন মামুনুর রশিদ
- রংপুরে শুরু হচ্ছে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ
- ফুলবাড়ীতে লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধ সচেতনতামূলক সভা
- দিনাজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ মো: আহছান হাবীব
- রংপুরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শঠি ফুল
- নীলফামারীতে পাকেনি ধান,চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ
- চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
- শান্তর মান-ইজ্জত বাঁচালেন উগান্ডার অধিনায়ক
- হজ কাদের ওপর ফরজ, কাদের ওপর নয়?
- গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন
- টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ
- ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ
- দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের অবৈধ প্রদর্শন বন্ধে কার্যক্রম শুরু
- জলবায়ুর অভিঘাতের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়: পরিবেশমন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী কাঠের খেলনা
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নিরাপত্তা ব্রিফিং
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- ‘দেশের সব মানুষকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে’
- ঢাকায় ইসরায়েলের বিমান