যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিতে বিপর্যয়ের মুখে বিএনপি
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৩
![Find us in facebook Find us in facebook](https://www.dainikrangpur.com/media/imgAll/2023May/zzz-2305261249.jpg)
Find us in facebook
ড. সেলিম মাহমুদ
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির কারণে আওয়ামী লীগের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবে না। তবে এই নতুন নীতির ফলে বিএনপি'র ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ৪২ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে। শেখ হাসিনা এই দেশে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্র ও সংবিধানবিরোধী শক্তিকে পরাস্ত করেছেন, তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন, একটি টেকসই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল সংস্কার করেছেন। মূলতঃ চারটি কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির প্রেক্ষিতে বিএনপির রাজনীতি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।
প্রথমত, বিগত বছরগুলোতে বিএনপি'র রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করা। বিএনপি বলে আসছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই তাদের ক্ষমতায় আসার একমাত্র পথ। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তাদের সকল রাজনৈতিক কৌশল ও কার্যক্রম চলমান ছিল। তারা বলে আসছিল, আওয়ামী লীগ সরকার কিংবা দলীয় সরকারের অধীনে তারা আর কোন নির্বাচনে যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি'র আন্দোলনের প্রতি সহায়ক কিংবা সহানুভূতিশীল কোন বক্তব্য নেই। এই নীতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কোন স্বীকৃতি নেই। এছাড়া কিছুদিন পূর্বে আওয়ামী লীগের সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের যে আলোচনা হয়েছিল সেখানে পিটার হাস সুস্পষ্ট ভাবে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই।ফলে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি ভেস্তে গেল। বিএনপির নির্বাচনী কৌশল এবং তার আন্দোলন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এটি বড় ধরনের একটি বিপর্যয়।
দ্বিতীয়ত, বিগত বছরগুলোতে বিএনপি দেশের মাঠের রাজনীতি ছেড়ে বিদেশি ষড়যন্ত্রের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল হয়েছিল। দেশের সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত রাজনীতির মাঠ ছেড়ে শুধুমাত্র বিদেশি ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভর করে তারা ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বিদেশে পাচার করা হাজার হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে লবিস্টদের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খরচ করেছিল। রাজনীতির মাঠ ছেড়ে ঢাকায় রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। তাদের রাজনীতির ধরণ ও কৌশল এমনভাবে উপস্থাপন করেছিল যে, কিছু মানুষ মনে করেছিল কয়েকজন রাষ্ট্রদূত তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। গত কয়েক বছর তারা প্রচার করে আসছিলো যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিয়ে সরকারকে বিপর্যস্ত করে তারা ক্ষমতায় আসবে। তাদের এত দিনের রাজনীতির অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল 'স্যাংশন'। সাম্প্রতিককালে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত তাদের তথ্য সন্ত্রাসীরা স্যাংশন নিয়েই মাতামাতি করছিল। তাদের নীতি নির্ধারণী পর্যায়সহ সব পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্যাংশনের ওপরেই বার বার জোড় দিচ্ছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, স্যাংশন এসে সব উলট পালট করে দেবে। কিন্তু স্যাংশন আসলো না। তার পরিবর্তে যা আসলো তাতে তারা নিজেরাই বিপদে পড়ল। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির মূল বক্তব্যই হচ্ছে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। এটি বিএনপির জন্য একটি বড় বাধা কারণ তারা নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে চায়।
তৃতীয়ত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিএনপি বলে আসছিল যে, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনে তারা যাবে না। তাদের নেতারা সব বক্তৃতা বিবৃতিতে এটা বলে আসছিল, শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে আর কোন নির্বাচন তারা হতে দেবে না। এই নির্বাচন তারা যেকোনো মূল্যেই প্রতিহত করবে। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে তারা এদেশে আগুন সন্ত্রাস করেছিল। শেখ হাসিনার অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়- এটিই ছিল তাদের শেষ কথা। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি অনুযায়ী নির্বাচন প্রতিহত করার যে কোন কার্যকলাপ বিধি-নিষেধের আওতায় পড়ছে। এর ফলে নির্বাচন প্রতিহত করার বিএনপি'র কোন উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো ধরনের সহায়তা পাবে না। অন্যদিকে, বিএনপি কিংবা অন্য কোনো শক্তির বাংলাদেশে নির্বাচন প্রতিরোধ করার কোনো উদ্যোগকে পশ্চিমা বিশ্ব সহায়তা করবে না -এ বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল। এক কথায় বলতে গেলে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন প্রতিরোধ করার বিএনপির সব ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেল।
চতুর্থত, গত কয়েক বছর ধরে বিএনপি এবং সুশীল সমাজের কিছু লোক এটি বলে আসছিল যে, বাংলাদেশে বিএনপি নির্বাচনে না আসলে এই নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক হবে না। পশ্চিমা বিশ্বের কিছু কিছু দেশও এই প্রোপাগান্ডার কারণে একই ধরনের মনোভাব পোষণ করতো। এর কারণে বিএনপি প্রায়ই নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা বলেছিল, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে সে নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না কারণ এই নির্বাচন 'অংশগ্রহণমূলক' হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির ফলে বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিম বিশ্বের নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না- এই ধরনের কোনো বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিতে নেই। বিএনপি নিজে থেকে নির্বাচন বর্জন করলে এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না- এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির ফলে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে পশ্চিমা বিশ্বের কোনো সমর্থন তারা পাবে না- এটি পরিষ্কার। মোটা দাগে বলতে গেলে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেল। পাশাপাশি শেখ হাসিনার অধীনে এদেশে কোন নির্বাচন হবে না, বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল হয়ে যাবে- এরকম অপপ্রচার যারা করছিল যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির কারণে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে।
- ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত
- সরকার কোটা সংস্কারের পক্ষেঃ আলোচনায় বসবে সরকার
- শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান
- পরিস্থিতি বুঝে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে: পলক
- মেসির ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে চাকরিচ্যুত দেশটির ক্রীড়া কর্মকর্তা
- সরকারের বিভিন্ন বিভাগে নিচের গ্রেডে জনবল ঘাটতি, শীর্ষে অতিরিক্ত
- শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- উর্বশীর ফাঁস হওয়া ভিডিও ক্লিপ নিয়ে আলোচনা
- রাজধানীসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- চিরকুট লিখে প্রাণ দিলেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী
- গাজায় যুদ্ধের সব নিয়ম ভেঙেছে ইসরায়েল, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১
- কমপ্লিট শাটডাউন সম্পর্কিত বিবৃতিপত্রটি ভুয়া
- বন্ধ ঘোষণার পর হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
- ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র!
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯২৪১ শিক্ষার্থী
- রাসূলুল্লাহ (সা.) আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে যা বলেছেন
- কুড়িগ্রামে বানের পানিতে ভেসে গেছে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার মাছ
- বৃহস্পতিবার ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের ডাক
- ঘোড়াঘাটে কবর থেকে চুরি হওয়া হাড়গোড় উদ্ধার, আটক ৩
- হচ্ছে কর্মসংস্থান, কমছে পরিবেশ দূষণ
- রাতে ঘাম বাড়ে? যে রোগের পূর্বলক্ষণ
- ঠাকুরগাঁওয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজে বরাদ্দ
- বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন
- শোকের মাতমে শেষ হলো তাজিয়া মিছিল
- ব্যস্ততায় পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন যেভাবে
- হল ছাড়ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ
- জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
- যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে রাজাকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন
- জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- কমপ্লিট শাটডাউন সম্পর্কিত বিবৃতিপত্রটি ভুয়া
- ভূরুঙ্গামারীতে নেশার টাকা না পেয়ে যুবকের আত্মহত্যা
- গার্লস স্কুলের ছাত্রী মিতা মারা যাওয়ার সংবাদটি মিথ্যা
- হাঁড়িভাঙা আম সংরক্ষণে দেশের প্রথম বিশেষায়িত হিমাগার হবে রংপুরে
- রাসেলস ভাইপার নিয়ে ‘আতঙ্ক’ নয়, প্রয়োজন সতর্কতা
- কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপরে
- দিনাজপুরে সড়কে ঝরল মা-ছেলেসহ ৩ জনের প্রাণ
- চামড়াশিল্পে সিন্ডিকেট, অপতৎপরতা রোধে করণীয়
- রাসেলস ভাইপার থেকে বাঁচার দোয়া
- এবারের ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে: পুলিশ
- আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- ভালো শুরুর পর তামিমের বিদায়
- ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট হবে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
- ডিমলায় জুয়ার আসর থেকে ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ১১
- পীরগঞ্জে নারীর অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার
- সংলাপের মাধ্যমে বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান
- তিস্তার পানি কমছে, বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
- পঞ্চগড়ে এসএসসি ২০০০ ব্যাচের মিলন মেলা
- তিস্তাপাড়ের ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি
- বৃটিশ রানির ‘গুপ্তচর বাহিনী’, রহস্যের জট খুললো ৪২৮ বছর পর