• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার   

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

দিনাজপুরের খানসামায় ২২ বছর পলাতক থাকা ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তসলিম উদ্দিনকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব এলিট ফোর্স।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খানসামা থানা-পুলিশ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। গ্রেপ্তার তসলিম উদ্দিন উপজেলার ৬ নম্বর গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দুবলিয়ার আমিজ উদ্দিনের ছেলে। এর আগে গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জের গাউসিয়া মার্কেটসংলগ্ন ফলপট্টি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, তসলিম উদ্দিন ২০০০ সালে খানসামার খামারপাড়া ইউনিয়নে ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ নামের একটি এনজিওতে সুপারভাইজার হিসেবে চাকরি করতেন। তিনি খামারপাড়া ইউনিয়নের সাতটি বিদ্যালয়ের প্রায় ১৪ জন শিক্ষকের সুপারভাইজার ছিলেন। ওই ১৪ জনের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাও ছিলেন।

একই কর্মসূচির আওতায় চাকরিরত থাকার সুবাদে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তবে তসলিম বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক ছিল। এ কথা ভুক্তভোগী শিক্ষিকা জানতেন না। একপর্যায়ে তসলিম বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

বিষয়টি তসলিমকে জানালে তিনি অস্বীকার করেন ও গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করার জন্য চাপ দেন। ভুক্তভোগী শিক্ষিকা সম্মত না হয়ে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এমনকি তসলিমের পরিবারকে বিষয়টি জানান। এর প্রতিশোধ নিতে প্রতারণা করে ভুক্তভোগীকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করান। এ সময় তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। 

ভুক্তভোগী শিক্ষিকার পরিবার ২০০২ সালে তসলিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে খানসামা থানায় মামলা দায়ের করেন। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালে দিনাজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। মামলার হওয়ার পর থেকেই গ্রেপ্তার তসলিম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ এলাকা ত্যাগ করে ঢাকায় চলে যান। তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তসলিম ২২ বছর পলাতক ছিলেন। র‍্যাবের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here