• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

প্লাস্টিকের বোতলে মিলছে কম্বল

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

গত ৫০ বছরে পৃথিবীতে মাথাপিছু এক টনেরও বেশি প্লাস্টিক পণ্য উৎপন্ন করা হয়েছে। এসব অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্য ১০ শতাংশ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। অবশিষ্ট ৯০ শতাংশ প্রতিনিয়ত নানাভাবে বিপন্ন করে তুলছে পরিবেশকে। এমন ক্ষতির বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে রংপুর নগরীর কামারপাড়ায় `চলো স্বপ্ন ছুঁই' স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিয়েছে ভিন্ন এক উদ্যোগ। প্লাস্টিকের বোতল দিলেই শীতার্ত মানুষকে দেয়া হচ্ছে কম্বল।

দশটি প্লাস্টিক বোতলের বদলে এখন পর্যন্ত ২০০ পরিবারকে কম্বল দিয়েছে সংগঠনটি। সমাজ ও প্রকৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন এর সদস্যরা। 

তারা জানান, ‘রংপুরে প্রথমবারের মতো আমরাই এ উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলবে। এর মাধ্যমে মূলত ‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’ মানুষকে একটি বার্তা দিতে চায়। আর তা হচ্ছে - প্লাস্টিকের ফলে পরিবেশ যে হারে দূষিত হচ্ছে, তা ধীরে ধীরে হুমকি হয়ে উঠছে। এ প্লাস্টিকই পরে মানুষের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই এখন থেকেই সচেতন হওয়া দরকার।’

প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে কম্বল নিতে আসা মো. আউয়াল মিয়া বলেন, ‘হামরা তো গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। এই কম্বল খান প্যায়া খুব উপকার হইল। শীতের দিনোত এরাগুলো হামার পাশত আসি দাঁড়াইছে হামাক অনেক আনন্দ নাগছে। প্লাস্টিকের বতল দিয়া কম্বল, এইডা দিয়া নতুন কিছু শিখলাম।'

মো. শহিদার রহমান নামে একজন বলেন, ‘হামরা ১০টা করি নষ্ট বোতল দিছি, দিইয়া এখান করি কম্বল পাছি। তাতে করি পরিবেশ সুরক্ষা পাবে, হামরাও কম্বল পেয়া খুশি। হামরা তো এইল্লা পাই না। এমরা দিলো, হামরা খুবে সন্তষ্ট।'

‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’-এর প্রতিষ্ঠাতা মো. মুহতাসিম আবশাদ জিসান বলেন, ‘জাপানের ছোট্ট একটি শহর কামিকাতসু; এ বছর তারা `জিরো প্লাস্টিক ওয়েস্ট' লক্ষ্য স্থির করে এবং এর বাসিন্দারা সেই অনুযায়ী রিসাইক্লিং সেন্টারে নির্ধারিত প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো ফেলছেন। নিয়মিত তা তদারকি করা হচ্ছে। যদি জাপানের ছোট্ট একটা শহরের যেখানে মাত্র দুই হাজার বাসিন্দা, তারা পারেন, তাহলে রংপুরের মানুষ কেনও পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসলে এখানে বিষয়টা অভ্যাস এবং যথাযথ তদারকির। আমাদের প্রোগ্রাম করার মূল উদ্দেশ্যটাই ছিলো পরিবর্তন নিয়ে আসা। নীতি-নির্ধারকদের এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে একটা মেসেজ পৌঁছে দেয়া যে, আমরা চাইলেই কি-না পারি! আমরা জিরো প্লাস্টিক ওয়েস্ট-এর একটা সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করে প্লাস্টিকের বিনিময়ে শীতার্ত মানুষদের উপহার হিসেবে কম্বল দিয়েছি। জিরো প্লাস্টিক ওয়েস্ট সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এ ধরনের ছোট ছোট উদ্যোগ নিলে একটা সময় এই প্লাস্টিক নিয়ে আমাদের আর হুমকির মুখে পড়তে হবে না।'

Place your advertisement here
Place your advertisement here