• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ মে ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে শ্রম আইন সংশোধনী বিল পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। এই বিল পাস হলে বাংলাদেশের শ্রম বাজারের উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে সুপারিশ আছে তা পূরণ হবে।

সম্প্রতি জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।

২ মে থেকে শুরু হওয়া পরবর্তী সংসদীয় অধিবেশনে বিলটির পাসের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিলটি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডগুলোও পূরণ করতে সক্ষম। একই সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রম বাজার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে উদ্বেগ ছিল, সেটিও মোকাবিলা করবে সংশোধিত এই আইন।

ইইউ ২০১৯ সালে বাংলাদেশকে ‘শ্রম অধিকারের বিষয়ে প্রস্তাবিত পদক্ষেপের ওপর একটা নির্দেশনা দিয়েছিল এবং একটি সময়পযোগী রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছিল।

এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ আইএলও-এর সহযোগিতায় একটি বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে। একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ১১ দফা শ্রম কর্মপরিকল্পনা বাংলাদেশের কাছে পেশ করেছে।

আইএলও এবং ইইউ-এর সঙ্গে সহযোগিতার কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী এই সংস্থাগুলোকে নিয়মিত অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়ার আশ্বাস দেন।

তিনি রাষ্ট্রপতিকে ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) বিলটি পাসের ব্যাপারে পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের জন্য উন্নত পরিবেশ তৈরির স্বীকৃতি স্বরূপ ২৯টি কারখানাকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ এর জন্য মনোনীত করার ঘোষণাও দেন।

তিনি জানান, শ্রমিকদের জন্য একটি ডাটাবেস তৈরি করা এবং অদক্ষ শ্রম অভিবাসন রোধ করার লক্ষ্যে একটি কর্মসংস্থান বিভাগ স্থাপনের প্রচেষ্টা চলছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কারখানা পরিদর্শন অধিদফতর (ডিআইএফই)- এর ইন্সপেক্টর জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুর রহিম খান শ্রম আইন প্রয়োগে শ্রম দফতরের গুরুত্বের উপর জোর দেন। বিপুল সংখ্যক অনিবন্ধিত কারখানার চিত্র তুলে ধরেন তিনি  এবং এসব ক্ষেত্রে যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের তদারকির প্রয়োজন সেটাও উল্লেখ করেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here