• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

ঠাকুরগাঁওয়ে ২০ কোটি টাকার আম বেচাকেনার আশা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

এবার গতবারের তুলনায় ঠাকুরগাঁওয়ে আমের কাঙ্ক্ষিত ফলন হয়েছে। গাছে গাছে দুলছে নানান জাতের আম। আর মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে আম পেড়ে বাজারজাত করবেন আম চাষিরা। পাঁচটি উপজেলায় এবার ৫ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে- জানিয়েছে জেলা কৃষি অধিদপ্তর। ঠাকুরগাঁওয়ে ২০ কোটি টাকার আম বেচাকেনার আশা প্রকাশ করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

 জেলার বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, ধানের খেত, বাড়ির আশপাশসহ আমের বাগান ঘুরে দেখা যায়, চলতি মৌসুমে এবার জেলায় শিলাবৃষ্টি না হওয়ায় গাছে আমের ক্ষতি হয়নি। বাগানে কিংবা বসতবাড়ির সব গাছে প্রচুর আম ধরেছে।

এ জেলায় আম্রপালি, গোপালভোগ, হিমসাগর, মল্লিকা, হাঁড়িভাঙা, সূর্যপুরি, বান্দিগৌড়ী, কাটিমনসহ বিভিন্ন জাতের আম চাষ হচ্ছে।  

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বালিয়াহাট গ্রামের অসীম হায়াৎ বলেন, ২৫ বিঘার উপরে তার আম বাগান। বাগানে সব জাতের আমগাছ রয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার ফলন ভালো আছে। আম ব্যবসায়ীরা বাগান কিনতে আসছেন। আর কয়েক দিনের মধ্যে বাগান বিক্রি করে দেবেন তিনি।

জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে এবার জেলায় মোট ৫ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে রয়েছে। জেলায় তেমন কোথায় শিলাবৃষ্টি হয়নি। কৃষি অফিসাররা আম চাষিদের সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি আশা প্রকাশ বলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ মৌসুমে ২০ কোটি টাকার উপড়ে আম বেচাকেনা হবে জেলায়।

ঠাকুরগাঁও রোড বাজারের আম ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমের ফলন ভালো। ঠিকমতো বাজারজাত করতে পারলে ও সঠিক দাম পেলে এ বছর জেলায় ২০-২৫ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হবে বলে জানান তিনি।

ঠাকুরগাঁও আমবাগানের মালিক ও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, জেলায় এবার মুকুল থেকে আমের গুটি হওয়ার সময় তীব্র দাবদাহ ছিল। বৃষ্টি হয়নি। এ কারণে আমের আকৃতি ছোট হয়েছে। আবার পোকার আক্রমণ ও গত এপ্রিলে কয়েক দফা কালবৈশাখীতে গাছের আম কিছু ঝরে পড়েছে।

হরিপুর উপজেলার বালিহারা গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম আট বছর ধরে আম চাষ করেন। এ বছর তার বাগানে জমির পরিমাণ ১৩ বিঘা। তিনি বলেন, গেলবারের তুলনায় এবার আমগাছে মুকুল এসেছিল বেশি। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে এবার আমের গুটি ব্যাপক হারে ঝরে যায়। এ ছাড়া আম পরিপক্ব হওয়ার সময় পর্যাপ্ত পানি পায়নি। এতে আকার কিছুটা ছোট হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি, ছোট গাছে আম বেশি আসে। এ কারণে বড় গাছে মুকুল কম হলেও উৎপাদনের লক্ষ্য গত বছরকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। কৃষকরা এতটা আশাবাদী নন। তারা বলছেন, এবার ফলন কম হবে। তবে দাম ভালো পাওয়ার আশা রয়েছে।

জেলার রানীশংকৈল উপজেলার কলেজ শিক্ষক ও আমচাষি তাজুল ইসলাম বলেন, এবার আশানুরূপ ফলন হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here