• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

দিনাজপুরে অপরিপক্ক লিচু বিক্রির ধুম

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

সারাদেশে কমবেশি লিচু চাষ হলেও দিনাজপুরের রসালো লিচুর রয়েছে আলাদা কদর। প্রতিবছরের মতো এবারও জেলায় গাছে গাছে লিচুর রং আসতে শুরু করেছে। তবে গ্রীষ্মের খরতাপে অপরিপক্ব লিচুতেই ধরেছে পাকা রং। কিন্তু এক শ্রেণির ব্যবসায়ী অপরিপক্ক কাঁচা লিচু পেড়ে বিক্রি করছেন। যা খেলে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) থানা মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, উজ্জ্বল সরণিতে লিচু বিক্রি করছেন শাহিন আলম। ক্রেতাদের আতকৃষ্ট করতে ‘মাসিমপুরের লিচু’ ও ‘মাধববাটির লিচু’ বলে হাঁক দিচ্ছেন। কিন্তু এ দুই জায়গার লিচু এখনো পাড়া শুরু হয়নি। লিচুগুলো পেকেছে কি না, মিষ্টি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চিনির মতো মিষ্টি। লিচু পেকে গেছে’। কিন্তু ক্রেতারা বলছে, লিচু টক। ঠিকমতো পাকেনি।

আরেক লিচু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ১০০ লিচু ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। বিক্রিও ভালো। লিচু মিষ্টি কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিষ্টি না থাকলেও তার লিচুতে কোনো ফরমালিন বা কীটনাশক নেই। তাই লিচু খেলে কোনো সমস্যা নেই।

ফুড অ্যান্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মারুফ আহমেদ বলেন, ‘দিনাজপুরের লিচু এখনো পাকেনি। খাওয়ারও উপযোগী নয়। আগাম জাতের লিচুগুলো পাকতে এখনো ১০-১২ দিন মতো সময় লাগবে। সরকার নির্ধারিত সময়ে লিচু আহরণ করা হলে আমরা এর সুমিষ্টতা ও পুষ্টিগুণ উপভোগ করতে পারবো। কাঁচা, অপরিপক্ব লিচু খেলে ছোট-বড় যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।’

নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে বাগানমালিক ও ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হচ্ছে। তবে অপরিপক্ব লিচু খেলে তেমন সমস্যা নেই। তবে ক্যামিকেল বা রং ব্যবহার করে লিচু আকর্ষণীয় করে বাজারে বিক্রি করা হলে এবং সেই লিচু খেলে সমস্যা হতে পারে। বাজারে অপরিপক্ক লিচু বিক্রি করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।


 

Place your advertisement here
Place your advertisement here