• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

১১ দিন পর কবর থেকে তোলা হলো মাইশার লাশ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

কুড়িগ্রামের শিশু মারুফা জাহান মাইশার মৃত্যুর ঘটনায় দাফনের ১১ দিন পর লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে মাইশার মরদেহ তোলা হয়।

সোমবার বিকেলে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপা গ্রাম থেকে মাইশার মরদেহ তোলা হয়।

এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকার রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন দাস, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেদওয়ান ইসলাম, স্থানীয় কমিশনার মো. জমসেদ আলী টুংকু উপস্থিত ছিলেন।

মাইশার বাবা মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে ওরা হত্যা করেছে। মেয়ের মরদেহ গোসলের সময় দেখতে পাই ২০ সেলাই। আমি নিশ্চিত ওরা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নয়ন দাশ বলেন, আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার পর ময়নাতদন্তের স্বার্থে কবর থেকে মরদেহ তোলা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করে সম্মতি দিলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাইশার মরদেহ কবর থেকে তোলে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কুড়িগ্রাম নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. রেদওয়ান ইসলাম বলেন, মাইশার বাবার করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ লাশ তোলা হলো। ময়নাতদন্তের পর যে প্রতিবেদন আসবে সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিশু মাইশার বাড়ি কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়া গ্রামে। সাড়ে চার বছর আগে মাত্র ৯ মাস বয়সে চুলার আগুনে মাইশার ডান হাতের আঙুল পুড়ে কুঁকড়ে যায়। গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার রূপনগরের আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে মাইশার আগুনে পোড়া হাতের আঙুলের অস্ত্রোপচার করার সময় শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে সেদিনই মরদেহ নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরে আসেন বাবা-মা। তবে দাফনের সময় দেখা যায়, আঙুলের অপারেশন করতে গিয়ে পেট কাটার ফলে মাইশার মৃত্যু হয়। 

পরিবারের দাবি, শিশুটিকে হত্যা করে কিডনি বের করে নিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসকরা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here