• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ইজ্জতের দাম ৮৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছেন স্থানীয় মাতব্বররা!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

নীলফামারী সদর উপজেলার এক কিশোরী গার্মেন্টস কর্মীর ইজ্জতের দাম মাত্র ৮৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছেন স্থানীয় মাতব্বররা। বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভপাতের অভিযোগ থেকে ভুক্তভোগীর প্রেমিককে বাঁচাতেই তারা গোপনে এ লেনদেন করেছেন। ঘটনাটি ঘটে ওই উপজেলার কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের সরকার পাড়া এলাকায়।

জানা গেছে, বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরী গার্মেন্টস কর্মীকে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করে প্রেমিক আজাদ। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। পরে আবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার পেটের সন্তান নষ্ট করতে ওষুধ খাওয়ায় আজাদ। ওষুধ খাওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। পরে ২২ জুলাই প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুইদিন চিকিৎসা নেয়ার পর বাড়ি ফিরে যান ভুক্তভোগী কিশোরী।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, আজাদ আমাকে বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করে। এতে আমি অন্তঃসত্ত্বা হলে সে আমাকে বলে- এটা অবৈধ সন্তান, এটাকে নষ্ট করেই আমাকে বিয়ে করবে। এরপর আজাদের দেওয়া ওষুধ খেয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার পরিবার ন্যায় বিচারের জন্য মাতব্বরদের কাছে যায়। মাতব্বররা আজাদকে বাঁচাতে রাতের আঁধারে ৮৫ হাজার টাকায় সব ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে।

ওই কিশোরীর চাচা বলেন, আমরা গরীব মানুষ, টাকা-পয়সা নেই। এ কারণে কোনো ঝামেলায় যেতে চাই না। মাতব্বরদের পরামর্শে ৮৫ হাজার টাকায় মীমাংসা করেছি। আমাদের কোনো দাবি-দাওয়া নেই।

কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের মেম্বার সহির উদ্দিন বলেন, শুনেছি মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এরপর কী হয়েছে তা আমার জানা নেই।

Place your advertisement here
Place your advertisement here