• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

লালমনিরহাটে নারী সহকর্মীকে অপহরণ: গণপিটিশন দাখিল

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটে নারী সহকর্মীকে অপহরণ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে লাপাত্তা হওয়া শিক্ষক খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে গণপিটিশন দাখিল করা হয়েছে। রোববার বিকেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দফতরে গণপিটিশন দাখিল করেছে অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি।

গণপিটিশনে শিক্ষক খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারীর শিক্ষাগত সব সনদ জাল দাবি করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। তারা তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উমাপতি হরনারায়ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষকসহ চারজনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় অভিযোগ করেছেন অপহৃত শিক্ষিকার স্বামী মাহবুব রহমান মিঠু।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী রিনা বেগমকে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করছিলেন উমাপতি হর নারায়ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুল আলম সবুজ। এ বিষয়ে রিনা বেগম অভিযোগ করায় ওই শিক্ষককে সতর্ক করা হয়। এতেও শোধরাননি তিনি। ২৪ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাঞ্জুমা আক্তারের সহায়তায় রিনাকে ফিরনির সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ান খায়রুল। এতে রিনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই ঘটনায় বিচার চেয়েও পাননি রিনা।

অভিযোগে আরো জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে একা ছিলেন রিনা। ওই সময় খায়রুল আলম বাড়িতে ঢুকে আবারো রিনাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে পৌনে চার লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ রিনাকে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। স্থানীয়দের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর খায়রুলের বাড়িতে গিয়েও রিনার সন্ধান পাননি মাহবুব রহমান মিঠু।

তিনি বলেন, ঘটনার তিনদিন পরও স্ত্রীকে উদ্ধার করতে পারিনি। অভিযুক্ত শিক্ষক খায়রুল আলম সবুজও আত্মগোপনে রয়েছেন।

এদিকে অভিযুক্ত চার শিক্ষকের দুইজন অনুপস্থিত থাকায় বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক মাঞ্জুমা আক্তারও অনিয়মিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিজের নিয়মেই স্কুল চালাচ্ছেন তিনি। যা নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে একাধিকবার শোকজ করলেও তিনি শোধরাননি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে চার বছর ধরে সরকারি বরাদ্দ আত্মসাতসহ ১২টি অনিয়ম উল্লেখ করে গণপিটিশন দাখিল করেন শতাধিক অভিভাবক।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, অপহরণের শিকার রিনা বেগম মোবাইলে তার অবস্থান জানিয়েছেন এবং স্বামীকে তালাক দেয়ার কথাও স্বীকার করেছেন। তাকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। খুব দ্রুত তিনি থানায় হাজির হবেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী বলেন, গণপিটিশন পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকসহ অনুপস্থিত তিন শিক্ষকের বেতন কর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। তাদের দ্রুত অন্যত্র শাস্তিমূলক বদলি করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here