• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

‘৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটে’   

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের শেষ বাক্যে স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুগান্তকারী ভাষণের স্মারক হিসেবে দিনটি অবিস্মরণীয় হয়ে আছে।

১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে দেওয়া ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে সেদিন তিনি বলেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’এই ঘোষণা এসেছিল এমন এক সময়, যখন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার আহ্বানের অধীর অপেক্ষায় ছিল বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা। স্বাধীনতার যে ডাক বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন, তা বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। সেদিন রেসকোর্স ময়দান লাখো লাখো মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণছিল।  ময়দানজুড়ে শ্লোগান ছিল ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’। উপস্থিত জনতাকে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রায় ১৯ মিনিটের ভাষণে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি বলেন ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রæর মোকাবিলা করতে হবে।’ প্রকৃতপক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।


৭ মার্চ শনিবার দিনাজপুর গোর এ শহীদ বড় ময়দানে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনাজপুর জেলায় একযোগে লাখোকন্ঠে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ পরিবেশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ৭ই মার্চের এই ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে তুলে আনেন এক অনন্য উচ্চতায়। এতে সামরিক আইন প্রত্যাহার, সৈন্যবাহিনীকে ব্যারাকে প্রত্যাবর্তন, শহীদদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের চার দফা দাবি উত্থাপন করেন তিনি। সেদিন রেসকোর্স ময়দান থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সরাসরি প্রচারের সব আয়োজন ছিল ঢাকা বেতার কর্তৃপক্ষের।  প্রচার শুরুও হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান সরকার প্রচার বন্ধ করে দিলে বাঙালি কর্মচারী বেতার ভবন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের স¤প্রচার কার্যক্রম। গভীর রাতে অবশ্য বঙ্গবন্ধুর ভাষণ স¤প্রচারের অনুমতি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার।বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীনতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় ঘটনা। মূলত বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের আহ্বানেই জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চের কালরাতে পাকবাহিনীর নৃশংস গণহত্যার পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ  নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম (বার)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মতিয়ার রহমান,  দিনাজপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এইচ.এস.এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী, শহর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রায়হান কবীর সোহাগ, সাধারন সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজু প্রমুখ।

এর আগে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি দিনাজপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন। এরপর হুইপ ইকবালুর রহিম দিনাজপুর জিলা স্কুলে নব নির্মিত একাডেমিক ভবন এবং দিনাজপুর একাডেমী স্কুলে নব নির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here