• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

দু'দিন বিরতির পর পঞ্চগড়ে আবারো বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তাতে কোনো উত্তাপ নেই। শনিবার পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার তা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে মেঘ ও কুয়াশা থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কমেনি ঠাণ্ডা। বরং শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। 

এবার পৌষের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অধিকাংশ সময় পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। তবে বেলা ডুবার সাথে সাথেই ঘন কুয়াশার সাথে সাথে কমে আসছে তাপমাত্রা। গত কয়েক দিন ধরেই প্রায় সারাদিনই হিমালয়ের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে ধেয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে চলেছে। শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে দুর্ভোগও বাড়ছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের। প্রয়োজনীয় সংখ্যক শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে রাত কাটে এসব নিম্ন আয়ের মানুষের। খড়কুটো জ্বালিয়ে তারা শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। রাত ৯টার পর পরই রাস্তা ঘাট হাঁট বাজার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। 

এদিকে এবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪০ হাজার শীতবস্ত্র ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায়  হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা  নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশা ও আকাশে মেঘ থাকলে তাপমাত্রা বাড়ে। তবে ঠাণ্ডা বাতাস থাকায় শীতের তীব্রতা কমেনি। সামনে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা আরো কমে আসবে বলেও জানান তিনি। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here