• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

টাকা দিয়েও মেলেনি পদ, ক্ষুব্ধ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতারা 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও অসাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ২১৩ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির ৫০ এর অধিক শীর্ষস্থানীয় পদই টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

গত ২০ এপ্রিল অনুমোদন দেওয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের ঐ পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই হয়নি আগের কমিটির অনেকেরই। পদ ধরে রাখতে কিংবা দলের শীর্ষস্থানীয় পদ পেতে অনেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের মাধ্যমে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মোটা অঙ্কের মাসহারা দিয়েছেন। টাকার বিনিময়েও সংগঠনে পদ না পেয়ে তাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকেই।

দলীয় গোপন সূত্রের তথ্য মতে, পদবঞ্চিত ক্ষুব্ধ এসব নেতারা ঈদের পর কয়েক দফা বৈঠক করে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে প্রতিবাদী স্মারকলিপি দিয়েছেন।

কেন পদ পাওয়া যায়নি এমন প্রশ্নের তদন্ত করতে গিয়ে বিএনপির একাধিক নেতা নিশ্চিত হয়েছেন, তারেক রহমানকে যে টাকা পাঠানোর কথা ছিলো সে টাকা কমিটি হওয়ার আগে না পাঠানোয় বেশ ক্ষুব্ধ হন তারেক। মূলত পদ পেতে ৫০ এর অধিক পদপ্রার্থীর প্রত্যেকেই পদের রেট ভেদে দলের সিনিয়র নেতাদের মোটা অঙ্কের চাঁদা পাঠান। আর সেই টাকা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলেরই তারেক রহমানকে পাঠানোর কথা ছিল।

কিন্তু বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বিষয়টি জেনে যাওয়ায় মির্জা ফখরুলকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তারেককে টাকা পাঠাতে নিষেধ করেন। টাকা পাঠালে পদ হারাতে পারেন, এমন হুমকির কারণে মুখ বন্ধ করে ফেলেন ফখরুল। ফলে টাকা না পাওয়ায় পদবঞ্ছিত ঐ নেতাকর্মীরাই মূলত এখন ক্ষোভ ঝাড়ছেন ফখরুলের ওপর।

পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, ঈদুল ফিতরের সময় সবাই যখন ব্যস্ত তখন কৌশলে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি দেওয়া হয়েছে। গত কমিটির পাঁচ ভাগের চারভাগ নেতাদের বাদ দিয়েছেন এবং এই পদবঞ্চিত নেতাদের বেশিরভাগই রাজপথের সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ও সাবেক ছাত্রনেতা। অন্যদিকে নতুন কমিটিতে যাদের গুরুত্বপূর্ণ পদসহ বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনিয়মিত ও পূর্বের রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত দুর্বল।

তারা আরো অভিযোগ করেন, যাদের পদ দেওয়া হয়েছে, তারা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াসিন আলী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের অনুসারী।

Place your advertisement here
Place your advertisement here