• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

সমন্বয়হীন বিএনপি আন্দোলন করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

দীর্ঘ ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় বিএনপি আন্দোলন করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর এ কারণেই খালেদা জিয়ার মুক্তি আদায়ের আগে ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রক্রিয়ায় রয়েছে বিএনপি।

গণতন্ত্রমনা, ধর্মনিরপেক্ষ ও বাম রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি প্রগতিশীল চিন্তার মানুষকেও এ প্রক্রিয়ায় রাখতে চাইছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। দলটির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র আরো জানিয়েছে, দলের বাইরে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের খ্যাতিমান ব্যক্তি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে চায় বিএনপি।

রাজপথের মিছিলে, পত্রিকার কলামে, টিভির টকশোতে দলীয় সহকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় বিএনপি।

দলটির নেতারা মনে করেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার আন্দোলনে সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও ব্যক্তি এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতে পারলে বিএনপির সহযোগী দেশি-বিদেশি সব শক্তিকে পাশে পাওয়া যাবে। জনগণের মধ্যে ভিন্ন একটি ধারণা তৈরি হবে, নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। প্রশাসন একতরফাভাবে বিএনপির ওপর চড়াও হতে পারবে না। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে এই পরিকল্পনাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে দলটি।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, বর্তমানে যে জোয়ার চলছে, এতে সরকারের বিরুদ্ধে বলার মতো মানুষ বিএনপিতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু এরপরেও কিছু দল রয়েছে যারা বিএনপির মতো ক্ষমতাসীনদের বিরোধী। তাই এসব দলকে নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিএনপির স্বার্থে ব্যবহার করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় একজন আরেকজনের ভুলত্রুটি না খুঁজে অভিন্ন দাবিতে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে এক প্ল্যাটফর্মে আসতে হবে।

বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন, দেশে দুই ধরনের রাজনীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটি হচ্ছে ক্ষমতার রাজনীতি, অন্যটি ভোটের রাজনীতি। ক্ষমতার রাজনীতিতে মূল বাধা জামায়াতসহ ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপির কিছু সমর্থক থাকলেও জামায়াতসহ আরো কয়েকটি কারণে দলটি আটকে আছে।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, ক্ষমতাসীনরা মুখে যা-ই বলুক, বিএনপি-জামায়াত জোট ভেঙে যাক তা চাইবে না। কারণ বিএনপি-জামায়াত ব্র্যান্ডিং ক্ষমতাসীনদেরই বড় সুবিধা এনে দেয়। পশ্চিমা বিশ্ব জামায়াত বা ধর্মভিত্তিক দলগুলোর রাজনীতি পছন্দ করে না। এ অবস্থায় বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে পরিচিত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে পথ চলার চিন্তা করছে। সেক্ষেত্রে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট কোন পর্যায় পর্যন্ত থাকবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে দলটি। ভোটের রাজনীতিতে জামায়াত বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করে বিএনপি। সেক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতে জামায়াতকে আড়াল করার চিন্তা করছে কিনা তা সময়ের ব্যাপার।

বিএনপির একটি অংশ দাবি করেন, ঐক্যফ্রন্ট আবার সক্রিয় করা হোক তা দু’একজন ছাড়া দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যান্য নেতারা চান না। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের ভূমিকা নিয়ে বিএনপি নেতাদের আপত্তিও রয়েছে। কারণ ড. কামাল বিএনপির অনেক বিষয়ই মানতে চান না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়েও নেতিবাচক মন্তব্য করেন। 

গণফোরামের নেতারা সভা-সমাবেশে বারবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারণ করেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান নিয়ে তাদের ইতিবাচক কোনো বক্তব্য থাকে না, যা উপস্থিত নেতাকর্মীরা কোনোভাবেই মানতে পারে না। এ থেকে স্পষ্ট হয় ১৪ বছর পরেও সমন্বয়হীনতায় ভুগছে বিএনপি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here