• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ফখরুলের একঘেয়েমি বক্তব্যে বিরক্ত কর্মী-সমর্থকরা   

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপরে নাখোশ দলের কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এটি বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ধ্রুব সত্য হলেও তা স্পষ্ট হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঠান্ডা মাঠকে গরম করার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে। যার সবশেষ প্রমাণ ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি নেতাদের অগ্নিঝরা বক্তব্য।

এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলার সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ্যে এসেছে মির্জা ফখরুলের হতাশা।

জানা গেছে, ঐদিন দলের সিনিয়র নেতাদের বক্তব্য শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে স্থান ত্যাগ করতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। 

শেষমেশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া কর্মী-সমর্থকরা তাকে অবজ্ঞা করার নিমিত্তে সভাস্থল ত্যাগ করেন।

সূত্র জানিয়েছে, ঐদিন সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান ১২টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ১১টা ৫০ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার আগেই ব্যানার গুটিয়ে এবং ফেস্টুন নিয়ে নেতাকর্মীদের কর্মসূচির স্থান ত্যাগ করতে দেখা যায়। কর্মসূচিতে প্রায় দুই হাজার বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যের আগেই কর্মসূচি থেকে চলে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক কর্মী বলেন, মূলত মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রতি বিরক্ত সর্বস্তরের নেতারা। মির্জা ফখরুলের কারণেই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। এক নয় একাধিক কারণে বিতর্কিত তিনি। অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে নেতাকর্মীরা সেই বিক্ষুব্ধ মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছেন।

রফিকুল আলম নামের একজন কর্মী বলেন, মির্জা ফখরুলের আঁতাতের কারণেই খালেদা জিয়া আজও অবরুদ্ধ। দলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনের পক্ষে থাকলেও তিনি কর্মসূচি দিচ্ছেন না। তাই তার বড়বড় কথা শুনতে কেউ আগ্রহী নয়।

এ সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নির্বাচনে পরাজয় ও বেগম জিয়ার অবরুদ্ধ থাকার জন্য অনেক নেতাকর্মী এখনো দলের মহাসচিবকেই দায়ী করছেন। এই কারণেই তার বক্তব্য বর্জন করতে পারে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হলেন বিএনপির একজন পুতুল মহাসচিব। তিনি না পারছেন কাউকে কিছু বলতে, না পারছেন সইতে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here