বিএনপি কি পারবে ভাঙন ঠেকাতে?

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি দলের অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবিলা করতে পারবে কিনা, এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

বিশেষ করে সিনিয়র নেতাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কিছুতেই থামছে না। দলের ভেতরে বিশৃঙ্খলা-কোন্দল ক্রমশ প্রকাশ্য রূপ নিতে শুরু করেছে। এক কথায় নেতৃত্ব সংকটেও ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপি।

দলীয় গোপন সূত্রে জানা গেছে, সিন্ডিকেট ও বিভিন্ন মেরুকরণের কারণে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কয়েক খণ্ডে বিভক্ত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য স্পষ্ট মতানৈক্যের ইঙ্গিত বহন করে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ‘হরিহর-আত্মা’র সম্পর্কও ভোগাচ্ছে দলটিকে।

এছাড়া বিএনপির জোট-ফ্রন্ট ছাড়াই সামনে চলার সিদ্ধান্তও হিতে বিপরীতের কাজ করেছে। তারেক জিয়ার স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী চক্রের সঙ্গে আঁতাত ও তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী দল চালানোর ফলে বিএনপি নিশ্চিত ভাঙনের মুখে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তাদের মতে, তারেক জিয়া এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলকে ভুল পথে পরিচালিত করছেন। এর মাশুল দিতে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে। খালেদা জিয়ার এ পরিণতির জন্য তারেক জিয়া এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই দায়ী। তারা খালেদা জিয়াকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন।

এজন্যই এ রকম আন্দোলনের নাটক করছেন। কুমিল্লার মেয়র মনিরুল হক সাক্কু স্থানীয় ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। বরিশালের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত মজিবুর রহমান সরোয়ার। নজরুল ইসলাম মঞ্জুও খুলনার রাজনীতিতে প্রভাবশালী। বড় কোনো ত্রুটি ছাড়া তাদের বাদ দেওয়ার কারণে সাংগঠনিকভাবে ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপি।