• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ছেলের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অবস্থান!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের পীরগাছায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া বাসায় ছয় মাস ঘর সংসার করার পরেও এক কলেজছাত্রীকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে গত ১১ দিন থেকে ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছে ওই কলেজছাত্রী।

এর আগে ভাড়া বাসা থেকে সমাধানের কথা বলে ছেলের বাড়িতে উভয়কে নিয়ে আসা হলেও স্ত্রীর মর্যাদা দিতে বাধ সাজে ছেলের মা। ফলে গত ১১দিন ধরে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে অনাহারে-​অর্ধাহারে দিন কাটছে ওই কলেজ ছাত্রীর।

মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের সোনারায় কারবালা গ্রামের হরিশ চন্দ্র বর্মণের বাড়িতে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।

কলেজছাত্রী ও তার পরিবার জানায়, ওই গ্রামের হরিশ চন্দ্র বর্মণের ছেলে পংকজ কুমার বর্মণের সঙ্গে একই গ্রামের মামতো বোন ওই কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে রংপুরে লেখাপড়ার সুযোগে ছয় মাস আগে ওই শিক্ষার্থীকে গোপন একটি স্থানে শাঁখা-সিঁদুর পড়িয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দেয় পঙ্কজ। পরে শহরের আলমনগর খামারটারী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার শুরু করে তারা। সম্প্রতি বিষয়টি উভয় পরিবারের মাঝে জানাজানি হলে সমাধানের জন্য ছেলের পরিবার তাদেরকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে ছেলের পরিবারের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছেলেকে গোপন স্থানে রেখে মেয়েটিকে বেধড়ক মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ছেলের বাড়িতে রেখে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, পংকজ কুমারের মা ওই ছাত্রীকে ছেলের স্ত্রী হিসেবে মেনে না নেওয়ায় গত ১১দিন থেকে সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ওই ছাত্রী ছেলের বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, পংকজ কুমার সম্পর্কে তার ফুফাতো ভাই। দীর্ঘ এক বছর প্রেমের সম্পর্কের পর ছয় মাস আগে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে করে একই সাথে রংপুর শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে ঘর সংসার করে আসছিল। সম্প্রতি ছেলে ও তার পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার জন্য নিয়ে আসে। কিন্তু তাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

পীরগাছা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তরুণ কুমার রায় বলেন, ছেলে মেয়ে উভয়ে সাবালক। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে সম্পন্ন করেছে তারা, শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়েছে। বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে সমাধান করা উচিত।

তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ছেলে পক্ষ রাজি না থাকায় সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করা হয়েছে।

পীরগাছা থানার ওসি আজিজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান হওয়ার কথা। সমাধান না হলে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here