• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

দেশজুড়ে বর্তমানে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এসময় ঘরে-বাইরে গরম থেকে বাঁচা বড়ই মুশকিল হয়ে পড়েছে! তাই ঘরে নিজ উদ্যেগেই আনুন শান্তির পরশ।

এই তীব্র তাপদাহের কারণে অধিকাংশেরই সঙ্গী হয়ে উঠেছে এসি অথবা এয়ার কুলার। কিন্তু সবসময় এসি বা কুলার চালালে বিদ্যুৎ বিলও তো আসবে আকাশছোঁয়া। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ না থাকলে আরেক ঝামেলা।

তাই চলুন জেনে নিই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়, যেভাবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তীব্র তাপদাহেও ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা।

ভারী পর্দা:

ঘরের জানলায় অনেক সময়েই হালকা রঙের পাতলা পর্দা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু গরমকালে এগুলো বেমানান। ঘরে রোদ আটকানোর জন্য ভারী পর্দা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। জানলায় মাদুরের পর্দাও ব্যবহার করা যায়। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। সকাল ১০টার পর থেকেই বাড়ির পশ্চিম দিকের বা উত্তর-পশ্চিম দিকে জানলা বন্ধ করে দিতে হবে। নাহলে ঘর বেশি গরম হয়ে যাবে।

ঘরে সবুজের আভা:

বাড়ির পূর্ব ও পশ্চিম পাশে বেশি করে গাছ লাগান। এটি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্টমেন্ট। বাড়ির আশেপাশে গাছ থাকলে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে না ৷ ফলে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা থাকে।

লাইট নয়:

এই সময়টা ঘরে লাইট না জালানোই ভালো। এলিডি বা ফ্লুরোসেন্ট লাইটের ব্যবহারই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। একইভাবে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বিশেষ করে টিভি না দেখলে চালিয়ে না রেখে বন্ধ করে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, মোবাইলের চার্জার থেকেও তাপ নির্গত হয়।

সাদা চাদর:

সাদা বা হালকা রঙের সুতির কাপড় বিছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। বিছানার চাদর মোটা হলে ঘাম বেশি হয়। সাদা ও হালকা রঙের উপাদান তাপ শোষণ করে না, বরং প্রতিফলিত করে।

পানিতে ঘর ঠান্ডা:

৩-৪ বালতি পানি জানলার নিচে রেখে দিন। তাতে পর্দার নিচের অংশটা ডুবিয়ে দিয়ে বিদুৎ থাকা অবস্থায় চালিয়ে দিতে হবে ফ্যান। ফলে ধীরে ধীরে ফ্যাব্রিকের মধ্যে দিয়ে উপরের দিকে যায়। তার মধ্যে দিয়ে বাতাস এসে গোটা ঘর ঠান্ডা করবে।

খোলা জানালা:

দিনের বেলা নয়, সূর্যাস্তের পরে জানলা খুলুন। গ্রীষ্মকালে দিনের বেলা গরম বাতাস বয়। তাই এই সময়টা জানলা বন্ধ রাখাই ভালো। তবে সূর্যাস্তের পরে যখন তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায় এবং ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করে তখন জানালা-দরজা খুলে দিতে হবে, যাতে বাতাস ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। ঠান্ডা বাতাসে ঘরের গুমোট হাওয়া বেরিয়ে যাবে।

বরফের জাদু:

যখন বিদুৎ থাকবে ইনস্ট্যান্ট এসির বাতাসের জন্য টেবিল ফ্যানের সামনে গামলা ভর্তি বরফ রেখে ফ্যান চালিয়ে দিন ৷ নয়তো একটি পানির বোতলে বরফ জমিয়ে ফ্যানের সামনে রাখুন। যখনই ফ্যান চালাবেন, বরফের ঠান্ডা হাওয়া ঘরকে শীতল করে তুলবে। লোডশেডিং হলেও ঘর ঠান্ডা থাকবে অনেকটা সময়।

গ্যাসের চুলা:

রান্নার সময় ছাড়া গ্যাসের চুলা বন্ধ করে রাখুন। এতে ঘরের তাপমাত্রা বাড়ে।

শীতল পাটি:

গরমে ঘুমানোর জন্য শীতল পাটি বেশ আরামদায়ক। ঘুমানো আগে বিছানার ওপর বিছিয়ে দিতে পারেন শীতল পাটি। বিদুৎ না থাকলেও আরামে ঘুমাতে পারবেন।

পেইন্ট:

ঘরের দেয়াল তাপ ছড়ায়। তাই দেয়ালে তাপনিরোধী পেইন্ট ব্যবহার করতে পারেন। সম্ভব হলে বাড়ির চারপাশেও গাছপালা লাগান। চাইলে ঘরের ভেতরও ইনডোর প্ল্যান্টস রাখতে পারেন। এই উদ্ভিদগুলো তাপমাত্রা শোষণ করে ঘর ঠান্ডা রাখবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here