• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

রাত জাগলেও সুস্থ থাকবেন যেসব নিয়ম মানলে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনযাপনও বদলে যাচ্ছে। তার সঙ্গে বদলে যাচ্ছে কাজের সময়ও। আর তাই এই কর্মব্যস্ত জীবনে প্রায়ই রাত জাগতে হয়। কাউকে আবার নাইট ডিউটি করতে হয় প্রায়ই।

কখনও বা পরিস্থিতির কারণে রাত জাগতে বাধ্য হন অনেকেই। কেউ বা পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠান বা আড্ডাতেও রাত জাগেন। মাঝেমধ্যে এক-দুই রাত জাগলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। পরে ঘুমিয়ে নিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।


কিন্তু মনে রাখবেন, রাতের পর রাত জাগলে নানা দিক থেকে বিপদ এসে হাজির হয়।


রাত জাগার সাধারণ বিপদ


> সারা দিন চোখে ঘুম লেগে থাকে। শরীর দুর্বল লাগে। মন-মেজাজ খারাপ হয় মন। এমনকী কাজের মানও এতে কমে যায়।


> লেটনাইটের পর ব্যায়াম করা হয় না। তার ওপর রাত জেগে এটা-সেটা খেলে, ওজন বাড়তে শুরু করে।


> ক্রনিক অসুখ থাকলে বা বয়স বেশি হলে রোগের প্রকোপ বাড়ে বা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।


> বেশিদিন ধরে রাত জাগতে জাগতে একসময় ঘুমের ছন্দে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। নতুন করে তাকে রুটিনে ফিরিয়ে আনতে তখন মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়।


সুতরাং যারা নিয়মিত রাত জাগেন, তারা সম্ভাব্য শারীরিক বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে মেনে চলুন নিচের নিয়মগুলো।


রাত জাগলেও সুস্থ থাকবেন যেসব নিয়ম মানলে


> রাত জাগলে এমনিতেই একটু পেটের গোলমাল হতে পারে। সে বিপদ এড়াতে কম তেল-মশলায় রান্না করা ঘরোয়া খাবার খান, রাত জাগতে হলে সে দিন পেটে একটু ক্ষুধা রাখুন।


> রাত জাগার সঙ্গী হিসেবে অনেকেই মদ ও টুকটাক ভাজা-পোড়া খান। কিন্তু সাবধান! এসব খেলে হ্যাং ওভার, অ্যাসিডিটি, বদহজম ইত্যাদির কবলে পড়ে পরের দিনের সবকিছু আপনার মাটি হতে পারে। শরীর খারাপ হতে পারে। বাড়তে পারে ওজন। দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ।


> রাত জেগে পড়া বা টার্গেট পূরণের চাপে কিংবা খেলা দেখার উৎসাহে প্রতিদিনের ওষুধ খেতে ভুলে গেলে সে সব রোগের প্রকোপ বাড়বে। এটা গুরুত্বপূর্ণ।


> যে কারণে রাত জাগছেন, তা শেষ হয়ে যাওয়ামাত্র শুয়ে পড়ুন। তার আগে উত্তেজনা কাটাতে খোলা হাওয়ায় একটু হেঁটে নিতে পারেন।


> দেরি করে ওঠার অভ্যেস রাখুন। সেই সুযোগ না থাকলে দুপুরে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করুন। স্কুল-কলেজ বা অফিসে ১০-১৫ মিনিট ঘুমিয়ে নেওয়ার (পাওয়ার ন্যাপ) সুযোগ আমাদের দেশে খুব একটা নেই। সে ক্ষেত্রে গাড়িতে যাতায়াতের পথে একটু ঘুমিয়ে নিন।


> বেশিরভাগ মানুষ প্রচুর চা-কফি ও সিগারেট খেয়ে ঘুম তাড়ানোর চেষ্টা করেন। এটা কিন্তু শরীরে ভীষণ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই এসব রাত জাগার সঙ্গীকে এড়িয়ে চলুন।


> একমাস ধরে টানা রাত জাগলে অ্যাসিডিটি, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ বেড়ে যায়। এই বিপদ এড়াতে ফাইবারসমৃদ্ধ হালকা সুষম খাবার খান।


> ঘুম কম হলে দুশ্চিন্তাপ্রবণ মানুষরা একটু খিটখিটে হয়ে পড়েন। ঘুম বাড়িয়ে সে সমস্যা কমাতে না পারলে কথাবার্তা কম বলুন, যাতে বদমেজাজের বহিঃপ্রকাশে সম্পর্ক ও কাজ নষ্ট না হয়।


> মৃগী রোগ থাকলে মাঝেমধ্যে একটু ঘুমিয়ে না নিলে আচমকা অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।


> দিনের পর দিন দেরি করে ঘুমালে ঘুমের ছন্দ বদলে যায়। ঘুমের সমস্যা হতে পারে। ভয় পাবেন না। ধীরে ধীরে রুটিনে ফিরে আসুন। হালকা খাবার খান। ব্যায়াম করুন। কিছু দিনেই সব আগের মতো হয়ে যাবে। কিন্তু এসব না করে ঘুমের ওষুধ শুরু করে দিলে কিন্তু অনিদ্রা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বেন।


> মিষ্টি খেয়ে কম ঘুমের ক্লান্তি কমাতে গেলে খানিক ক্ষণের মধ্যে তা দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসতে পারে। দিনের পর দিন এরকম করলে ওজনও বেড়ে যেতে পারে। কাজেই টুকটাক খাওয়ার ইচ্ছা হলে শুকনো ফল, বাদাম বা টাটকা ফলের রস খান। তবে সবই পরিমাণে কম। এসবে ক্যালরি থাকলেও তা পুষ্টিকর ক্যালোরি। যা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী।


সূত্র: নিউজওয়ান২৪.কম

Place your advertisement here
Place your advertisement here