• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

Find us in facebook
সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

নিয়মিত সরিষার তেল খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

সেই প্রাচীনকাল থেকেই ঔষধি গুণের জন্য সরিষার তেল আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভারতীয় উপমহাদেশে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ থেকে সরিষার তেলের ব্যবহার।

গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করে রান্না করা খাবার খেলে শরীরের একাধিক উপকার হয়, বাড়ে আয়ুও। চিকিৎসকদের মতে, সরিষার তেলে আস্থা রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। নিয়মিত সরিষার তেল মাখলে অনেক জটিল সমস্যার মোকাবিলা করতে পারবেন।

সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ। এই তেল কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়। রক্ত সংবহন ও রেচনতন্ত্রের শক্তিশালী করে। সরিষার তেলে রয়েছে ১৯২৭ ক্যালরি। এক কাপ তেলে চর্বি থাকে ২১৮ গ্রাম। সরিষার তেলে আছে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ওমেগা, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পরিমাণমতো ভিটামিন এ। জেনে নিন সরিষার তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমে: গবেষণায় দেখা গেছে সরিষার তেলে উপস্থিত লাইনোলেনিক অ্যাসিড আমাদের শরীরে ক্যানসার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ফলে ক্যানসারের মতো মরণ ব্যাধি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। বিশেষত স্টমাক এবং কোলন ক্যানসারকে দূরে রাখতে এই তেলটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: সরিষার তেলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে মনোযোগ বৃদ্ধি এবং সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার উন্নতিতেও সাহায্য করে।

ওজন কমায়: সরিষার তেল ওমেগা -৩, ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিগুলোর একটি দুর্দান্ত উৎস। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিডে কেবল খাবারের স্বাদই উন্নত করে না, রক্তে চর্বির মাত্রাও হ্রাস করে। যেখানে ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রাকৃতিকভাবে শরীরে সঞ্চিত বাদামী চর্বি ব্যবহারকে সক্রিয় করতে পারে। সরিষার তেল ওজন কমাতে ভাল ভূমিকা পালন করে।

ত্বকের যত্নে কার্যকর: ত্বকে ডার্ক স্পট, ট্যান বা পিগমেন্টেশন ঠেকাতে বেসন, দই, লেবুর রস আর সরিষার তেল মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন, তার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সরিষার তেল ও নারিকেল তেল মিশিয়ে ১০ মিনিট ত্বকে মাসাজ করুন, ত্বক নরম, উজ্জ্বল থাকবে।

হাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি: সরিষার তেল আর আদা এই দুটোতে এমন উপাদান থাকে যা প্রদাহজনিত উৎসেচক বা এনজাইম ক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়। ফলে ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সরিষার তেলে পরিমাণ মতো কর্পূর মেশান। তেলটা গরম করে ঠান্ডা হতে দিন। এবার সেই তেল মালিশ করুন। আরাম পাবেন।

হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা হ্রাস পায়: একাধিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, নিয়মিত সরিষার তেল খেলে হার্টের কোনো ক্ষতি হয় না। বরং হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও হ্রাস পায়। গবেষণায় দেখা গেছে সরিষার তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি কোণায় যাতে ঠিক মতো রক্ত পৌঁছে যেতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখে।

মাইগ্রেনের কষ্ট কমায়: মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে ম্যাগনেসিয়াম দারুণ কাজে আসে। আর যেমনটা এরই মধ্যে আপনারা জেনে গেছেন যে সরিষার তেলে এই খনিজটি বিপুল পরিমাণে থাকে। তাই এমন তেলে রান্না করা খাবার খেলে মাইগ্রেনের কষ্ট একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, সরিষার তেলে ভাজা মাছ খেলে শরীরে ওমাগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

পরিশেষে, এই পরামর্শ শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রধান করে। এটি কোনো ভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here