• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

ঈদের আগে মাংস খাওয়ার প্রস্তুতি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

ঈদ আনন্দে বাড়িতে জম্পেশ খানাপিনার আয়োজন থাকে। বিশেষ করে কোরবানির ঈদে গরুর মাংসের অনেক পদ রান্না করা হয়। এ জন্য মাংস খাওয়া হয় বেশি। কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো খাবার খাওয়া উচিত হয়। সেটি মাংসই হোক কিংবা অন্য যেকোনো খাবার।

কোরবানির সময় আমাদের বাসাবাড়িতে মাংসের আধিক্য দেখা যায়। গরু কোরবানির ফলে বেশি মাংস আসে ঘরে। এই সুযোগে অনেকেই বেশি করে মাংস খান। এ সময় ভুনা খিচুড়ি-মাংস, কালিয়া, রেজালা, কাবাবসহ নানা মুখরোচক ও তৈলাক্ত খাদ্য বেশি খাওয়া হয়। তবে মুখরোচক খাবার বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়, যা থেকে হতে পারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও পেটের অসুক।
 
সুস্থ থাকতে এ সময় স্বাস্থ্যের দিক নজর দেওয়া জরুরি। তাই ঈদে নিয়ম মেনে খেতে হবে গরু ও খাসির মাংস। সেই প্রস্তুতি শুরু হোক এখন থেকেই-

১. যারা হার্টের রোগী বা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, তাদের গরুর বা খাসির মাংস অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। 

২. যাদের মেদ ভুঁড়ি আছে ও ওজন বেশি, তারা পরিমাণে কম মাংস খাবেন। কারণ অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা হতে পারে।
 
৩. বয়স্কদের মাংস গিলতে এবং হজমে অনেক সময় অসুবিধা হতে পারে। আর দাঁতের সমস্যা থাকলে মাংসের টুকরা গলায় আটকে যেতে পারে। তাই পরিবারে বয়োজ্যেষ্ঠ থাকলে তাদের জন্য মাংসের টুকরা ছোট ছোট করে রান্না করুন।
 
৪. এ সময়ে পেটের সমস্যা ও ডায়েরিয়া হতে পারে। তাই ওরস্যালাইন ঘরে রাখুন। আর যদি পাতলা পায়খানার পরিমাণ বেশি হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আর গ্যাস্ট্রিক এসিডিটি সমস্যায় বুক জ্বালা, পেটব্যথা, বমি বমি ভাব, টক ঢেকুরের সমস্যা হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক এসিডিটির সমস্যার জন্য কিছু এন্টাসিড ট্যাবলেট ঘরে রাখতে পারেন।

৫. মাংস রান্নার জন্য সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে বা চর্বি ফেলে দিয়ে রান্না করা স্বাস্থ্যকর।

Place your advertisement here
Place your advertisement here