• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

জেনে নিন করোনার কারনগুলো   

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনা প্রজাতির নানা ধরনের ভাইরাস আগেও জ্বর-সহ বিভিন্ন অসুখ সৃষ্টি করেছে। মূলত প্রাণীর শরীর থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। নভেল করোনাভাইরাসকে ২০১৯-এর ডিসেম্বরে প্রথম চিহ্নিত করা হয়। পরে এর নাম দেয়া হয়  ‘কোভিড-১৯’।
‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম’, ‘করোনাভাইরাস-২’, বা ‘সার্স কোভ-২’ নামেও একে চিহ্নিত করা হচ্ছে। শ্বাসনালী ও ফুসফুসের পৌঁছে নিউমোনিয়া-সহ বিভিন্ন জটিল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আর এই রোগজীবাণু বাতাসবাহিত হয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এই রোগের লক্ষণ কী কী?

শ্বাসের মাধ্যমে বাতাসবাহিত হয়ে শরীরে প্রবেশ করে বলে গলা ব্যথা ও সর্দির মাধ্যমে এই অসুখের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সঙ্গে জ্বর তো থাকেই। অন্যান্য ভাইরাল ফিভারের মতো কিছু কিছু উপসর্গও থাকতে পারে। মাথা ব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও সামগ্রিক ভাবে দুর্বল বোধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

আর পাঁচটা ভাইরাল জ্বরের মতোই এর উপসর্গ দেখা যায়। তবে এই কোভিড-১৯ ভাইরাসকে মোটে আড়াই-তিন মাস চিনেছি। তাই স্থানকালপাত্র ভেদে যে অন্যান্য কোনো রোগ লক্ষণ থাকবে না, সে কথাও এখনই জোর দিয়ে বলার সময় আসেনি।

জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই কি ডাক্তার দেখানো উচিত?

সাধারণ ভাইরাল ফিভার মানেই কোভিড-১৯ নয়। তবে যে কোনো অসুখ হলেই সেল্‌ফ মেডিকেশন না করে অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে নেয়া ভালো। যদি কেউ বিদেশ থেকে ফেরেন বা এই অসুখ ছড়িয়ে পড়েছে এমন জায়গায় থাকেন তবে অবশ্যই কোনো ঝুঁকি না নিয়ে নিজেকে আইসোলেট করে রাখা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

যে কোনো সংক্রামক অসুখে সাধারণ পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা উচিত। মুখে ভালো করে চাপা দিয়ে হাঁচি-কাশি, ভালো করে হাতে-মুখে সাবান দেয়া, খাওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখিয়ে নেয়া উচিত। বিশেষ করে যাদের বারে বারে সংক্রমণ হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের কোনো ঝুঁকি না নিয়ে জ্বর-সর্দি হলে অবিলম্বে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয় আবশ্যক।

এই ভাইরাস কি এক জন মানুষের থেকে আরেক জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে?

হাঁচি, কাশি, লালা বা সর্দির মাধ্যমে এই কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বেশির ভাগ করোনা গ্রুপের ভাইরাসই এভাবে ছড়ায়। এতে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাসকে এত ভয় পাচ্ছেন কেন? 

কোভিড-১৯ নামের এই ভাইরাস শ্বাসনালী থেকে সোজা ফুসফুসের পৌঁছে গিয়ে মারাত্মক ধরনের নিউমোনিয়ার সৃষ্টি করে বলে এই জ্বর বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। নিউমোনিয়ার পাশাপাশি আরো শারীরিক জটিলতা ডেকে আনতে পারে এই ভাইরাস। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে মৃত্যুর হার ১ শতাংশেরও কম। অন্যদিকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর হার প্রায় ৩ শতাংশ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here