• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

কেমন হবে পূজার খাওয়াদাওয়া

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

আকাশে সাদা মেঘের খেলা আর দিগন্ত-জুড়ে ফুটে আছে কাশফুল। বাতাসে ভাসছে পূজার আগমনী বার্তা। বছর ঘুরে চলে এলো সনাতন ধর্মের সব থেকে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ভোজনরসিক বাঙালির কাছে উৎসব মানেই নানা ধরনের খাবারের আয়োজন। পূজা-পার্বণে সেই আয়োজন আরও বেড়ে যায় যেন।

পূজার ভোজ মানে চিরাচরিত বাঙালি খাবার। নানা সুস্বাদু খাবার তৈরি হয় পূজার আয়োজনে। পূজা যে এসেছে সেই আগমনী বার্তা বোঝা যায় কাশফুলের মাথা দোলানো দেখে। আর বোঝা যায় মা-মাসিদের রান্নাঘরে ব্যস্ততা দেখে। চিড়া, মুড়ি আর গুড় থেকে শুরু করে পিঠেপুলি, নাড়ু, মিষ্টি, মাংসের তরকারি, মাছের তরকারি সবকিছুই থাকে এই তালিকায়। 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার। এসব খাবারের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হাতে তৈরি নানারকম নাড়ু ও লাড্ডু। পূজার ভোজের শেষ পাতে পরিতৃপ্তি আনতে বাঙালি সনাতনধর্মীয় প্রতিটি ঘরে পূজার কিছুদিন আগে থেকেই তৈরি হয় নাড়ু ও লাড্ডু।পূজা শব্দটি শুনলে সবার আগে যে খাবারের নাম মনে পড়ে সেটি হলো নাড়ু। পূজা এলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে এই নাড়ু তৈরির ধুম পড়ে যায়। নারিকেল, গুড়, চিনি, তিল, বাদাম, কিশমিশ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন স্বাদের নাড়ু। 
 
পূজার খাবারে যেসব খাবার বেশি পরিচিত তার মধ্যে নাড়ুর পরেই আসে লুচি ও আলুর দমের নাম। এই দুই পদ না হলে যেন চলেই না! গরম গরম ফুলকো লুচির সঙ্গে আলুর দম জিভে জল এনে দেয়। এই দুই খাবার তৈরির প্রক্রিয়াও জটিল নয়। রেসিপি শিখে নিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায় লুচি ও আলুর দম। এর সঙ্গে থাকে নানা ধরনের চাটনি। সেসব চাটনি খাবারের রুচি বাড়াতে কাজ করে।

পূজার খাবারের অন্যতম আকর্ষণ হলো নিরামিষ। বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। নিরামিষ তৈরি করা যায় নানাভাবে। কয়েক ধরনের সবজি একসঙ্গে মিলিয়ে রান্না করা হয় লাবড়া। খিচুড়ি কিংবা লুচির সঙ্গে এটি খেতে বেশ লাগে। স্বাদ, সুঘ্রাণ, পুষ্টিতে এই পদ অনন্য।
 
অষ্টমীর দিনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় খাবার হলো খিচুড়ি। এই খিচুড়ি রান্না করা হয় ঘরেই। শিশু থেকে বয়স্ক, সবার কাছেই পছন্দের খাবার এটি। চাল ও কয়েক রকমের ডাল সহযোগে রান্না করা হয় সুস্বাদু খিচুড়ি। তার সঙ্গে কয়েক রকমের ভাজা, বেগুনি, চাটনি ও আচার যোগ হয়ে আরও বেশি লোভনীয় করে তোলে।

মিষ্টি ছাড়া তো পূজার আয়োজন অসম্পূর্ণ। শেষ পাতে মিষ্টি না হলে কি চলে! রসগোল্লা, চমচম, লালমোহন, সন্দেশ, ক্ষীর, দই আরও কত কী! এছাড়াও পূজার পরিচিত মিষ্টি জাতীয় খাবারের তালিকায় রয়েছে চিনির সন্দেশ, বাতাসা, তালের বড়া ও দুধপুলি পিঠা। আরও থাকে পদ্মচিনি, ছানার সন্দেশ,  মিষ্টিদই, ক্ষীর থাকে পূজার খাবারের আয়োজনে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here