• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বর্ষার আগে ফের তাপপ্রবাহের দাপট, থাকবে কয়দিন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

বর্ষার বাকি এখনো সপ্তাহ দুয়েক। কয়েকদফা তাপপ্রবাহের পর বর্ষার আগে সারাদেশে ফের দাপট দেখাচ্ছে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু অগ্রসর হতে পারে; জুনের প্রথমার্ধে সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর বিস্তার ঘটবে।

মঙ্গলবার সারাদেশে তাপমাত্রা ছিল ৩৬ থেকে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে। এ সময়ে কোথাও বৃষ্টি হয়নি, যা আরো চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, চলমান মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ আগামী চার থেকে পাঁচদিন অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

বুধবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আগামী কয়েক দিনে খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে বলেও জানান তিনি।

খো. হাফিজুর বলেন, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তী ৫ দিনে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরো অগ্রসর হতে পারে।

এদিকে জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝিতেও দেশের সর্বত্র বৃষ্টি না থাকায় দিন রাতের তাপমাত্রা বাড়ছে। ঢাকাসহ সারাদেশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে।

এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়ার পরিভাষায় ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে গেলে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

এদিকে এপ্রিল-মে মাসের পুরোটা জুড়েই তাপপ্রবাহ, কালবৈশাখী, বজ্রপাতের দাপট ছিল। মে মাসের মাঝামাঝিতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে তাপমাত্রা কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল। এর কয়েকদিন পরই আবারো তাপপ্রবাহ শুরু হলো।

দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জুনের প্রথমার্ধে সারাদেশে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করতে পারে। এ সময় ১-২ টি মৌসুমী নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

এর আগে ৪ থেকে ১২ এপ্রিল মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের এবং ১৩ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল তীব্র এবং ২৪ এপ্রিল ৩০ এপ্রিল আবারো মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।

এরপর মে মাসের শুরু থেকে টানা তাপপ্রবাহ চলার পর ঘূর্ণিঝড় মোখার বৃষ্টিতে তা প্রশমিত হয়। ১৪ মে মিয়ানমার-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা।

পরবর্তীতে সপ্তাহ-দশদিন বেশ ঝড়বৃষ্টির দাপটের পর চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। রোববার থেকে বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে মঙ্গলবার তা সারাদেশে বিস্তার লাভ করে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here