• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

সম্পর্কের গভীরতা জানান দিতেই আসে ভালোবাসা দিবস

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আর এই দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে উদযাপন করা হয়। বিশ্বব্যাপী সমোচ্চারিত হচ্ছে ভালোবাসার অমীয় বাণী। এমন সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি সচরাচর এই ক্রোধ-সংঘাতের পৃথিবীতে দেখা যায় না। অস্ত্র, হানাহানি, দ্বন্দ্ব, সংঘাত ছেড়ে পৃথিবী আজ যোগ দিয়েছে লাল গোলাপের গালিচায়। প্রতিদিনের মত এই দিনটি হলেও ভালোবাসা দিবসে পরিবার-প্রিয়জনদের উপহার, ঘুরতে যাওয়া সর্বোপরি তাদের সাথে ভালো সময় কাটানোর বার্তা দেয় এই দিনটি। প্রিয়জনদের পাশে রাখা এবং সম্পর্কের গভীরতা জানান দিতেই যেন বছর ঘুরে আসে ভালোবাসা দিবস।

ভালোবাসা হলো একটি মায়া। ভালোবাসার মায়া আছে বলেই আজও পৃথিবী টিকে আছে। টিকে আছে সম্পর্কের অটুট বন্ধনগুলো। যদি ভালোবাসা না থাকতো তাহলে হয়তো পৃথিবী বসবাসের যোগ্য হয়ে উঠত না, থাকতো সভ্যতার সেই আদিম কালে। বৃদ্ধি পেত বহুগুণে হানাহানি, সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা। তবে বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্তে এবার  ভালোবাসা দিবসের সাথে যোগ হয়েছে বসন্ত। আবার শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ভালোবাসা দিবস এবং বসন্ত পেয়েছে নতুন মাত্রা। 

ইতিহাসবিদদের মতে, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এ উৎসবের সূত্রপাত। এক খ্রিস্টান পাদ্রি ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নামানুসারে দিনটির নাম ‘ভ্যালেনটাইনস ডে’ করা হয়। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টানবিরোধী রোমান সম্রাট গথিকাস আহত সেনাদের চিকিৎসার অপরাধে সেইন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেনটাইন তার আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি নাম সই করেছিলেন ‘ফ্রম ইউর ভ্যালেনটাইন’। সেন্ট ভ্যালেনটাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেনটাইনস ডে হিসেবে পালন করা শুরু করেন। যুদ্ধে আহত মানুষকে সেবার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে ভালোবেসে দিনটি বিশেষভাবে পালন করার রীতি ক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ভিন্ন মত অনুযায়ী সেইন্ট ভ্যালেনটাইন একজনকে ভালোবেসেছিলেন। চিঠিটি লিখেছিলেন তার কাছেই।

কিভাবে, কেমনে ভালোবাসা দিবস এসেছে সেটা নিয়ে এই দিনে আমরা তর্ক-বিতর্কে না জড়িয়ে, প্রত্যাশা করি তর্কের উর্দ্ধে সবার জীবনে নেমে আসুক ভালোবাসার অমীয় আশীর্বাদ। চিরকাল অটুট থাকুক ভালোবাসার বন্ধন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here