• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

বঙ্গবন্ধু ও ৭ ই মার্চ নিয়ে কি ভাবছেন তরুণরা 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

৭ ই মার্চ। এ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুক্তির জন্য যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তাতে দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লার মানুষ আশা ও আস্থা দুটিই পেয়েছিলেন। সেদিন রেসকোর্স ময়দানে বাঙালির স্বাধীনতার এ মহান নায়ক মুক্তির সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এরমধ্য দিয়েই ঘোষিত হয় জাতির মুক্তির পথ। 
এ ভাষণে উজ্জীবিত হয়েই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল লাখো বাঙালি। তরুণ প্রজন্ম এখনো এ ভাষণে নব উদ্যেমে চলার শক্তি খুঁজে পায়। তারুণ্যের ভাবনায় বঙ্গবন্ধু ও ৭ মার্চের ভাষণের এই গল্প জানাচ্ছেন ফারুক রহমান।

রিমন হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা চলে এসেছিল। কারো আর বুঝতে বাকি ছিল না অতি দ্রুতই বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটতে যাচ্ছে। প্রতিটি দেশপ্রেমিক বাঙালির হৃদয়েই বঙ্গবন্ধু রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে আমরা তরুণ প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হই, শাণিত হয় আমাদের দেশপ্রেমের চেতনা। বঙ্গবন্ধুর শুধু বাংলাদেশ নয় তিনি সারা বিশ্বের জন্য আদর্শ হয়ে আছেন। তার ভাষণও বিশ্বের অন্যতম সেরা ভাষণ।

ইশরাত জাহান এলিজা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। কবির এই চরণ থেকেই যে কেউ উপলব্ধি করতে পারে বঙ্গবন্ধুকে। বাঙালির অবিসংবাদিত এ নেতা দেশের প্রতিটি মানুষকে পরাধীনতার শেকল থেকে মুক্ত করেছেন। মুক্তির সংগ্রামের মাহেন্দ্রক্ষণ ছিল ৭ মার্চ। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণে প্রতিটি দেশপ্রেমিক উজ্জীবিত হয়েছিল শোষকদের শেকল থেকে বেরিয়ে আসার সংগ্রামের জন্য। বঙ্গবন্ধু ও তার ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিটি শব্দই আমাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। যেকোনো ন্যায়ের পক্ষের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু তারুণ্যের পথিকৃৎ।

অভিজিৎ দেবনাথ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে ৭ মার্চ এক অবিস্মরণীয় দিন। আমরা যারা স্বাধীনতার পরে জন্মগ্রহণ করেছি, এ ভাষণটি সরাসরি দেখতে বা শুনতে না পারলেও প্রযুক্তির কল্যাণে আজও যখন শুনি আমরা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়, নব উদ্যোমে চলার প্রেরণা পাই। ৭১ এর ৭ মার্চে দীর্ঘদিনের শোষণ আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠ ধ্বনিত হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ বর্তমান প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখায় অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিবাদী হতে হয়, মাথা নত না করে ন্যায়ের পথে অবিচল থাকতে হয়।

কামরুজ্জামান রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

এক মহাজাগরণে শামিল হয়ে বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করতে যিনি অগ্রনায়ক হয়ে কাজ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু। তার ৭ মার্চের ভাষণই সব বাঙালিকে এক করেছিল। আমরা তরুণরা বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধু আমাদের সত্যের ও সুন্দরের পথ দেখিয়ে গেছেন। কোনো বাঙালিই তাকে ভুলবে না। এই ভাষণ বঙ্গবন্ধুকে আরও অনন্য করেছে।

সাইফ মাহমুদ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

একজন মানুষ কীভাবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করতে পারে তার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ বঙ্গবন্ধু ও তার ৭ মার্চের ভাষণ। যার দ্বিতীয় নজির আর নেই। বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে ও ভালোবাসতে হবে। তার ভাষণে আমরা স্বাধীনতার প্রায় পাঁচ দশক পরেও উজ্জীবিত হয়। যেকোনো ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের বিপক্ষে অনুপ্রেরণা পাই। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে আমরা লালন করে বাংলাদেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

শাহরিয়ার হোসেন শুভ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় 

১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’। সেই ডাকে প্রাণ বাজি রেখেছিল বাংলার মানুষ। যার ফলাফল আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। ভাবতেও পারি না, মাত্র একজন লোক কী করে কোটি কোটি বাঙালিকে মোহিত করেছিলেন। হোক না তা আমাদের কাছে অন্যের মুখে শোনা গল্প। তবু তো বাস্তব। তাই উপলব্ধি করি কেবল একজন শেখ মুজিব কীভাবে সারা দেশের তরুণ-যুবাদের নাড়া দিয়ে গিয়েছিলেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here