• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

জন্মদিন উদযাপিত: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

‘বাঙালি কি বাঙালি হয় শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি ছাড়া/ বাংলাদেশের ইতিহাসে দেবতা নাই মুজিব ছাড়া।’ পশ্চিমবঙ্গের কবি অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবিতা যেন বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষের কণ্ঠস্বরের প্রতিধ্বনি। শতবর্ষ আগে হিজল-বরুণ ছায়ায়, বাইগার নদীর তীরে ছোট্ট টুঙ্গিপাড়ায় যে শিশুটি জন্ম নিয়েছিলেন, শতবর্ষ পরও তিনি বাঙালির আলোকবর্তিকা। তার স্বপ্নেই স্বপ্ন দেখছে জাতি। গতকাল রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার গড়ার শপথ নিয়েছে জাতি। রাজধানীসহ সারাদেশে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে দিবসটি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল সকাল সাতটায় রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। ফুল দেয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর চৌকস একটি দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। পরে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের
পথ: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ। তিনি স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তিনি চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি সব সংকটে আমাদের চলার পথে পাথেয় হয়ে থাকবেন। তিনি বাঙালির দুঃখের একমাত্র বাতিঘর। মন্ত্রী বলেন, আমাদের বহুদিনের আকাক্সিক্ষত স্বাধীনতা এনে দিতে টুঙ্গিপাড়ার এক বীর প্রসূতি মা যাকে জন্ম দিয়ে ধন্য করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি প্রথম বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিয়ে স্বাধীন সত্তার বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম মানেই হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম হতো কিনা সন্দেহ, যদি এই জনপদে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতার জন্ম না হতো।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়ে যে উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, তিনি বেঁচে না থাকলেও তার উত্তরাধিকারের কোনো দিন মৃত্যু হবে না। তার উত্তরাধিকার সারা জীবন বেঁচে থাকবে। এই লিগ্যাসি অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অবিরাম লড়াই করে যাবো উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমাদের পরবর্তী সময় লক্ষ্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা। সেই বাংলাদেশ গঠনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার অভিমুখে আমাদের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।

বিএনপি নেতারা ‘ভারতের সহযোগিতা নিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনি বৈতরণি পার হয়েছে’ বলে যে অভিযোগ করছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, যখন দেশে-বিদেশে শত্রæতা, নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র, তখন ভারত শক্তভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি সে কথা বলেছি।

৩২ নম্বরে জনতার ঢল : স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে জনতার ঢল নামে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে জমায়েত হতে থাকে। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত হাজার হাজার নারী-পুরুষের কণ্ঠে উচ্চারিত ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘মুজিবের বাংলায় খুনিদের ঠাঁই নাই’ ‘আজকের এই দিনে মুজিব তোমায় মনে পড়ে’ ‘লাল সবুজের পতাকায় মুজিব তোমায় দেখা যায়’- এ সব স্লোগানে এলাকার পরিবেশ মুখরিত হয়ে ওঠে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, মহিলা শ্রমিক লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু আইন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

পিতার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছেন কন্যা : জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সারাদেশের সব ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) ৩য় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ ও ‘অসমাপ্ত মহাকাব্য’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ আলোচনা করা হয়।

বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানার সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এ লক্ষ্যে তিনি কাজও শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনামল পর্যালোচনা করলে তার প্রজ্ঞা ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে ভিশন ছিল তার পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অদম্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। বিজিবি মহাপরিচালক জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সবাইকে সততা, আনুগত্য, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহে বিজিবির সব পর্যায়ের কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবির সৈনিক, অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে : বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিপিএম, বিপিএম, রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামময় জীবন তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন সৎ, নির্লোভ রাষ্ট্রনায়ক বিশ্বের বুকে বিরল। একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী ও আত্মমর্যাদাশীল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে শিশুদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করার জন্য আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান তিনি। এ সময় জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ এর প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা।

স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার অঙ্গীকার : গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রাজধানীর গুলশান-২ এ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মূল ফটকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় শ্রদ্ধা জানান ডিএনসিসির কর্মকর্তারা, কাউন্সিলররা, ডিএনসিসি শ্রমিক লীগ, ডিএনসিসি স্ক্যাভেঞ্জার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, ডিএনসিসি পরিবহন চালক-শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ ইউনিয়ন।
এরপর নগর ভবনের হলরুমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই জাতির পিতার আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির দীর্ঘ দিনের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। যার তর্জনীর ইশারায় মুক্তিপাগল মানুষ সমুদ্রের মতো জেগে উঠেছিল। ছিনিয়ে এনেছিল এই দেশ, এই স্বাধীনতা, একটি স্বাধীন মানচিত্র। আজ জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে সবাই প্রতিজ্ঞা করি, এই শহরকে শিশুদের জন্য, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ ও বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে সর্বদা নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। আমাদের সন্তানদের জন্য সুন্দর ও সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই শহর হবে নিরাপদ, তাদের জন্য নিশ্চিত হবে সব সুবিধা। আজ এই শুভ দিনে প্রতিজ্ঞা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের সিটিকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলব।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাসিনা বারী চৌধুরী। আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসানসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উৎসব মুখরিত সারাদেশ : বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে শিশু সমাবেশে অংশ নেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচি পালন করা হয়। বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিষ্টান স¤প্রদায়, সকাল ১০টায় সবুজবাগ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার এবং সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধ স¤প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু স¤প্রদায় প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকাশিত এসব প্রকাশনা অবমুক্ত করা হয়। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আজ সোমবার বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here