বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ নতুন যুগে প্রবেশ করবে: আতিকুল ইসলাম

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন যুগে প্রবেশ করবে। যা দেশের জন্য একটি বিরাট বিপ্লব। যে বর্জ্য পরিবেশের ক্ষতি করতো, মিথেন গ্যাস সৃষ্টি করতো, সেটা সম্পদে পরিণত হবে।

বেইজিংয়ের চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের (সিএমইসি) কার্যালয়ে ডিএনসিসি ও সিএমইসি শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এ সময় ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দেশে চলমান সিএমইসি এর প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে চায়নিজ কোম্পানিটি বেলারুশ, আর্জেন্টিনা, আরব আমিরাত, নেপাল, শ্রীলংকা, তুরষ্কসহ বিভিন্ন দেশে সফলতার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ ৫ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সিএমইসি কনফার্ম (চূড়ান্ত) করেছে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের তারিখ ৫ জুলাই। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সব খরচও ঐ কোম্পানি বহন করবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করছি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। বর্জ্য যে বিরাট বড় সম্পদ, বর্জ্য থেকে যে টাকা আয় করা সম্ভব আজকে তা প্রমাণ হতে চলছে।

বৈঠকে আরো আলোচনায় অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সিএমইসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়ানসু,   ডিএনসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শফিকুর রহমান।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে চীনের সিএমইসি’র সঙ্গে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে ডিএনসিসি। চুক্তি অনুসারে, চীনা কোম্পানি প্ল্যান্ট স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সিটি কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় জমি ও নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে। আর বিদ্যুৎ বিভাগ উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় করবে।

রাজধানীর গাবতলী সংলগ্ন আমিনবাজার এলাকায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরির জন্য ডিএনসিসি এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষ করেছে।