ভয়ংকর মাদক স্কোপোলামিন: অপরাধীর হাতের পুতুল হয়ে যান ‘টার্গেট’
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২৩
Find us in facebook
দেশে ছিনতাইকারী, পকেটমার ও মলম পার্টির পর বাজারে এসেছে ভয়ংকর মাদক স্কোপোলামিন, যা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের শ্বাস’ নামে পরিচিত। এটির মাধ্যমে টার্গেট ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অর্থাৎ হাতের পুতুল করে সর্বস্ব লুটে নেয় অপরাধীরা।
বর্তমানে দেশে এই ভয়ংকর মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় রয়েছে এ ধরনের মাদক-সংশ্লিষ্ট অপরাধী চক্র।
এই মাদকের সংস্পর্শে এলে টার্গেট ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় অপরাধীদের কাছে। মাদক স্কোপোলামিনের ব্যবসায় দেশীয় চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকরাও। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, ভয়ংকর মাদক স্কোপোলামিনের মাধ্যমে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে দিয়ে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করানো সম্ভব। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে টার্গেট করা নারী বা পুরুষের শরীরে এই মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে অপরাধী চক্র তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এছাড়া পানির সঙ্গে মিশিয়েও পান করানো হচ্ছে এই মাদক। শ্বাস-প্রশ্বাস কিংবা পানি খাওয়ার মধ্য দিয়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তি অপরাধীদের ‘হাতের পুতুলে’ পরিণত হয়। দেশে এ ধরনের মাদকের সন্ধান পায়নি অধিদফতর। তবে এটি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়— এমন তথ্য রয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাছে। তারা জানায়, স্কোপোলামিন বা ডেভিলস ব্রেথের ভয়াবহতা ঠেকাতে এরইমধ্যে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। সতর্কতা বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, স্কোপোলামিন মাদকটি অপরাধী চক্রের কাছে ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের শ্বাস’ নামেও পরিচিত। এই মাদকটি হ্যালুসিয়েশন সৃষ্টিতে কাজ করে। মাদকটি বেশি তৈরি হয় কলম্বিয়ায়, যার বড় বাজার রয়েছে মেক্সিকোতে। মাদকসেবীরা এটি সেবন করে নিজেদের চিন্তাশক্তি হারিয়ে অপার্থিব কল্পনার শক্তিতে চলে যায়। দেশে এই মাদক ব্যবহার করে অপরাধ কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছে বিভিন্ন অপরাধী চক্র। তারা প্রথমে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তার কাছ থেকে মূল্যবান স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা নিয়ে নেয়।
সম্প্রতি ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিশ্বাস’ ব্যবহার করে যশোরের এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে কয়েক লাখ টাকা। এই প্রতারণার দায়ে তিন ইরানি নাগরিকসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারপরই এই মাদক ব্যবহারের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরো জানতে পারে—যশোরে টার্গেট করা দোকানে ঢুকে বিদেশি নাগরিকরা তেল কেনার নাম করে প্রথমে ঐ দোকানিকে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয়। এরপর কাগজটি পড়ার জন্য ওই ব্যবসায়ী যখন চোখ বা মুখের কাছাকাছি নেন, তখন তার আর কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকেনি। তার পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে যায় সেই বিদেশি নাগরিকদের কাছে। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে দেখতে পায়, সংশ্লিষ্ট ঐ ইরানি নাগরিকরা ব্যবসায়ীকে যা বলছে, তিনি তা-ই করতে থাকেন। ব্যবসায়ী তার ড্রয়ার থেকে নিজ হাতে কয়েক লাখ টাকা অপরাধী চক্রের হাতে তুলে দেন। তারপর সেই টাকা নিয়ে চম্পট দেয় অপরাধী চক্রের সদস্যরা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন্স ও গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের অভিযানে এ ধরনের কোনো মাদকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে আমাদের কাছে যেসব গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যখনই যে ধরনের মাদকের বিষয়ে তথ্য আসে, আমরা সে অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছি।
যে কেউ যেকোনো সময় এ ধরনের মাদকের অপব্যবহারের ফাঁদে পড়তে পারেন উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র বলেন, স্কোপোলামিন নামের এই মাদকটি হ্যালুসিয়েশন সৃষ্টি করে থাকে। মাদক মাখা কোনো কাগজ টার্গেট ব্যক্তির সামনে এনে ধরলে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তার শরীরে ঢুকে যায়। তখন ঐ ব্যক্তি অপরাধীর ‘হাতের পুতুল’ হয়ে যান। এক কথায় রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে যেভাবে কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়, ঠিক সেভাবেই টার্গেট ব্যক্তিদের এই মাদক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এভাবে অপরাধী চক্রগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। এমনকি টার্গেট ব্যক্তিকে দিয়ে যেকোনো ধরনের অঘটনও ঘটানো সম্ভব।
- শ্যামাসুন্দরী খালের জীবন ফেরাতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু
- মোবাইল চুরির অপবাধে নারীকে বেঁধে নির্যাতনের অভিয়োগে গ্রেপ্তার-১
- সালিশের জন্য ডেকে হত্যা করা হয় বাবুকে: র্যাব
- রাণীশংকৈলে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- সম্পর্কের যে বিষয়গুলো ছোটখাটো, কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ
- ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত পল্লীচিকিৎসক, ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা
- রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিটে আগুন
- ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে কীভাবে মাখবেন সানস্ক্রিন?
- কীভাবে মধুর হবে বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক?
- বেরোবির সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোরশেদ
- চাঞ্চল্যকর রাজু হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
- রংপুরে ৭ দিনব্যাপী বইমেলা
- রাতেই তীব্র বেগে ঝড়ের শঙ্কা
- কুড়িগ্রামে বাংলার বৈশাখ, বাংলার নাচ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
- রাগে গজগজ করে ‘জাতিসংঘ সনদ’ ছিড়লেন ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
- রংপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
- পঞ্চগড়ের তিন উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ১৩ প্রার্থী
- ঘুম ঘুম চোখে চা দোকানে লরি উঠিয়ে দিলেন চালক, নিহত ২
- চমক রেখে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা নামিবিয়ার
- সৌদি তরুণীদের প্রেরণা কে এই মারিয়া?
- যে দিনগুলোতে ওমরাহ করা নিষিদ্ধ
- আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ
- চীনা বিশেষজ্ঞকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত করলেন বাইডেন
- স্কুল-কলেজের সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ
- নতুন নকশায় বর্ধিত হচ্ছে মেট্রো লাইন
- ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার প্রস্তাব পাস
- প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনা তদারক করছেন: পলক
- অসাম্প্রদায়িকতা আমাদের মূল চালিকাশক্তি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঢাকায় লোডশেডিং দেওয়ার ইঙ্গিত বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর
- ৭ মার্চের আগেই বঙ্গবন্ধু পথনির্দেশ দিয়েছিলেন: গণপূর্তমন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী কাঠের খেলনা
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নিরাপত্তা ব্রিফিং
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
- ‘দেশের সব মানুষকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে’
- ঢাকায় ইসরায়েলের বিমান