• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আন্তর্জাতিক সায় নেই

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি অনড়। তাদের এ দাবির প্রতি সমমনা ক’টি ছোট দলেরও সমর্থন রয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা সংবিধান অনুসারে দলীয় সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। বিএনপি বিদেশীদের কাছে দেনদরবার অব্যাহত রাখলেও তাদের দাবির পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন নেই। এখনো পর্যন্ত কোনো দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার সমর্থনে কথা বলেনি। তবে তারা সবাই সুষ্ঠু ভোটের পক্ষে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসির) চ্যালেঞ্জ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ভোট। এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ইসি। 

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত একবছর ধরে রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। সেই সঙ্গে এই দাবির পক্ষে সমর্থন আদায় করতে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং প্রভাবশালী বিভিন্ন দেশের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে চিঠি চালাচালি করছেন দলের সিনিয়র নেতারা। কিন্তু কোনোভাবেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করা যায়নি। যে কারণে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা বিরাজ করছে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কোনো দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা অন্য একটি দেশের সংবিধানের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো পরামর্শ বা প্রস্তাব দিতে পারে না। তাই বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্তর্জাতি অঙ্গনের সমর্থন পেতে অনেক দেনদরবার করলেও সে দাবির পক্ষে কারও সমর্থন আদায় করতে পারেনি। বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিএনপিকে বিকল্প ভাবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে সরকার ও ইসিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। আর নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ইতোমধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। 

সূত্র জানায়, বিএনপি মনে করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য  নির্বাচন সম্ভব নয়। এ ছাড়া দেশের বিদ্যমান ব্যবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে তারা সুবিধা করতে পারবে না। এ জন্য তারা ছোট ছোট কিছু রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। আন্দোলনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের সঙ্গে তারা ধারাবাহিকভাবে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে। অবশ্য এর আগেই বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অঙ্গনে চিঠি চালাচালি করা হয়।

এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ তাদের মিত্রদের নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করছে। তারা সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার চেষ্টাও করছে। এ কারণে ১৪ দলীয় জোটের সকল শরিক দল, আগে বিএনপির সঙ্গে ২০ দলীয় জোটে থাকা ক’টি দলসহ বেশ ক’টি ইসলামী দল, জাতীয় পার্টি এবং ক’টি বাম দলসহ অনেক রাজনৈতিক দলই এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে। অপরদিকে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকা ৭ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে একটি দল ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ করছে। এ কারণে, বিএনপির আন্দোলন ও কূটনৈতিক তৎপরতায়ও এখন ভাটা পড়েছে।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা আশা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রতি সমর্থন দেবে।  কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা বিএনপির এ দাবি সমর্থন করেনি। তবে তারা সবাই সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছে। এ জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি চাপও অব্যাহত রেখেছে।
 
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের পর বর্তমান সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সমর্থন ও সহযোগিতার মনোভাব আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের এ তিনটি দেশের সরকার বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছে। তারা শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা আরও প্রসার করার কথাও জোরেশোরে বলেছে। তবে তারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছে।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকালে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকেও বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করা হয় এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করার আশ্বাস দেয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে দেশ-বিদেশের আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষে বিভিন্ন ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন, যা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পৌনে আট মাস আগে বর্তমান সরকারের জন্য শুভ সংবাদ বয়ে এনেছে।  

সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এখন পশ্চিমা দেশগুলো মনে করছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী অবস্থানে থেকে নিরপেক্ষ থেকে প্রশাসনকে দায়িত্বশীল করার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার চেষ্টা করে তাহলে তা সম্ভব। এ জন্য পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও করেছে। এ ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে। এ  বিষয়টি তারা বিএনপিকে জানিয়ে দিয়েছে। যদিও বিএনপি আশা করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রতি সমর্থন জানাবে। কিন্তু দেশগুলো সংবিধানের বাইরে গিয়ে সরকার বা নির্বাচন কমিশনকে কোনো পরামর্শ দিতে পারে না। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থন না পাওয়ায় বিএনপির আশার গুড়ে বালি পড়ে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।

অতিসম্প্রতি ইউরোপ ডে উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কিংবা মধ্যস্থতা নয়, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চায় ইইউ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জুলাইয়ে নির্বাচনী পরিবেশ দেখতে ইইউ’র একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা আসবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপের ৮ দেশের রাষ্ট্রদূত।

এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইটলি জানান, তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ করবেন না। তবে পরিস্থিতি বোঝার জন্য তারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দেখা করছেন এবং তাদের কথা শুনছেন। এর ধারাবাহিকতায় বিএনপির সঙ্গেও  আলোচনা চলছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। তিনি বলেন, জুলাই মাসে ইইউ পর্যবেক্ষক দল এসে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময়ের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করবে। তার ভিত্তিতে নির্ধারণ হবে জাতীয় নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কি না ইইউ।

এর আগে জাপান দূতাবাস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমাদের দেশ কোনো কথা বলবে না। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমি অবশ্যই কোনো মন্তব্য করব না।

প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে ১০ এপ্রিল ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এমন কোনো কথা বলেননি। তবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে জানান, আমরাও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এ ব্যাপারে আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করুন, যাতে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারি। এমন নির্বাচন করার জন্য আমরা ছবি সংবলিত আইডি কার্ড তৈরি করেছি, যাতে জাল ভোট না হয়। আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সও তৈরি করেছি। এ ছাড়া আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন রয়েছে। আমরা আশা করছি, এই নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। আমরা এ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক চাই। 

এর পর ১ মে  ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে  যুক্তরাষ্ট্র চায় নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কিভাবে হবে তা দেশটির জনগণই ঠিক করবে। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না। কারণ, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তাই আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। যতদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় না হবে ততদিন আন্দোলন চলবে। 

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিদেশী কোনো চাপ নেই। এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্য কোনো বন্ধুরাষ্ট্র কোনো চাপ দেয়নি। তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অবতারণা করেনি।

গত কয়েক মাস ধরে বিএনপি দেশে-বিদেশে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করে। দেশে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো কোনো দেশে তারা লবিষ্ট নিয়োগ করে। কিন্তু কোনোভাবেই বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রতি সমর্থন আদায় করতে পারেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থা নিয়েও অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। তাই কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপিকে প্রথমই  প্রশ্ন করা হয় এ দলের শীর্ষ নেতৃত্বে এখন কে আছেন?  বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মামলায় সাজা নিয়ে বন্দি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে অবস্থান করলেও সরকারের খাতায় মামলার পলাতক আসামি জেনে তারা আর বিএনপির রাজনীতি নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখায় না।

বিশেষ করে বিএনপির অতীত কর্মকান্ডে প্রতিবেশী প্রভাবশালী দেশ ভারত এ দলটিরে ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াত বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র হওয়ার বিষয়টিকেও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ ভালোভাবে দেখছে না। এ ছাড়া বিএনপি অতীতের ভুলগুলো শোধরিয়ে কিভাবে সামনে এগিয়ে যাবে এবং ক্ষমতায় যেতে পারলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আরও এগিয়ে নিতে কি করবে এমন কোনো স্বপ্নও জনগণকে দেখাতে পারছে না। পক্ষান্তরে বর্তমান সরকার যেভাবে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উচ্চস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করছে তা অধিকাংশ প্রভাবশালী দেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। এসব কারণে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। আর এ কারণেই বিএনপির তত্ত্বাবধায়কের দাবি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমর্থন লাভ করতে পারেনি বলে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে  করছেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here