• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীঃ আমাদের গর্ব

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

একটি স্বাধীন দেশের অবকাঠামোর অন্যতম অঙ্গ হল, সেই দেশের সামরিক বাহিনী বা প্রতিরক্ষা খাত।  বর্তমানে আধুনিক রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার প্রতীক এবং একই সাথে শক্তির প্রতীক হিসেবে সামরিক বাহিনী বা প্রতিরক্ষা খাতকে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলি তাদের শক্তিশালী, আধুনিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য অনন্য ভূমিকায় পদার্পণ করেছে।  অপরদিকে আরো কিছু দেশ আছে যেসব দেশের, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সামরিক বাহিনীর বহিঃশত্রুর আক্রমণ মোকাবিলা করতে হয়নি।  এজন্য থেমে থাকেনি সেই দেশের সামরিক বাহিনীর উন্নয়ন। সেসব দেশেও আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে, সামরিক খাতে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, যুদ্ধ জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীরও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। শুধু আমাদের নিজের দেশেই নয়, বরং বহির্বিশ্বেও রয়েছে আমাদের সামরিক বাহিনীর খ্যাতি। সেই সুনাম আরও ভালভাবে বিশ্বের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ, সংযুক্ত করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর ( সেনা, নৌ ও বিমান) সদস্যদের বিভিন্ন  সুবিধা। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্নের হাত ধরে এগিয়ে চলছে দেশের সামরিক খাতের উন্নয়ন। তিনি চেয়েছিলেন, দেশের সামরিক খাত যেন সবচেয়ে আধুনিক উন্নত ভাবে সাজানো হয়, আর এজন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল দেশের  সামরিক খাতে। সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। দেশের স্থল, নৌ ও আকাশ পথ সর্বদা শত্রুমুক্ত রাখার জন্য সদা সতর্ক এবং সজাগ আছে দেশের সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী।

দক্ষিণ এশিয়ার বঙ্গোপসাগর উপকূল বেষ্টিত দেশ হওয়ায়, বাংলাদেশের জন্য সমুদ্রপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  ভারত ও মিয়ানমার থেকে সমুদ্র সীমা সঠিক ভাবে  নির্ধারিত হওয়ার পর, বাংলাদেশ বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চলের অধিকারী হয়েছে। সেই  সাথে নির্দিষ্ট সামুদ্রিক অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদেরও মালিকানা বাংলাদেশের।  দেশের সমুদ্র সীমার ভিতর কোনো বহিঃশত্রুর  অনুপ্রবেশ যাতে ঘটে এজন্য রয়েছে চৌকস নৌবাহিনী। এই দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও দুঃসাহসী  অবদান রেখেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

দেশের যে কোন দুঃসময়ে, সাহসী এবং যোগ্য সন্তানের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য।  শুধু তাই নয় দেশের আধুনিক উন্নয়নেও তারা রেখেছে অনন্য অবদান।  দেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ  স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সম্পূর্ণ তাদের তত্ত্বাবধানে। বিশেষ পরিস্থিতিতে দেশকে এবং দেশের মানুষকে নিরাপত্তার সাথে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার এক বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর। দেশের দামাল ছেলেদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবদানে বাংলার আকাশও নিরাপদ।

সম্প্রতি সেনাবাহিনীতে তিনটি পদাতিক ডিভিশন, নৌবাহিনীতে দুইটি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন করা হয়েছে।  বর্তমান সরকারের তত্ত্বাবধানে সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে আধুনিক সমরাস্ত্র যা আধুনিক বাহিনী গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।  জাতিসংঘ মিশন কার্যক্রমে বাংলাদেশ ট্রুপ্স কন্ট্রিবিউটিং দেশ হিসেবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন  করেছে।  ২০১৫- ২০১৬  ও ২০১৬- ২০১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন হতে যথাক্রমে ১৫০ মিলিয়ন ও ২০৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের দেশে গড়ে উঠছে অত্যাধুনিক সশস্ত্র বাহিনী। এজন্য বিশ্বের বুকে আজ বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর নাম সমাদৃত।

Place your advertisement here
Place your advertisement here